এর আগে বুধবার সকালে ইরান ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশের মধ্যদিয়ে প্রেসিডেন্ট রায়িসির তিন-দিনব্যাপী ইসলামাবাদ সফর শেষ হয়। ইসলামাবাদ থেকে তিনি সরাসরি কলম্বো চলে যান। সেখানে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার উন্নয়নে সবরকম সহযোগিতা করতে ইরান প্রস্তুত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বুধবার শ্রীলঙ্কায় ইরানি বিশেষজ্ঞদের নির্মিত একটি বিশাল সেচ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এই প্রকল্প উদ্বোধনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দু’দেশের কর্মকর্তারা একথা উপলব্ধি করেছেন যে, পারস্পরিক উন্নয়নে ইরান ও শ্রীলঙ্কা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে।
শ্রীলঙ্কাকে একটি স্বাধীনচেতা দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ইরান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা শক্তিশালী হলে তা দু’দেশের জন্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যত বয়ে আনবে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান তার প্রযুক্তিগত ও প্রকৌশল সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে বিশাল বিশাল জলবিদ্যুৎ ও সেচ প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছে। এবার শ্রীলঙ্কায় ‘উমা ওইয়া’ মাল্টিপারপাস প্রজেক্ট নামক যে সেচ প্রকল্প ইরান নির্মাণ করেছে সেটি রাজধানী কলম্বো থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে তুলনামূলক দূরবর্তী ও শুষ্ক অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বুধবার রাতে কলম্বো থেকে তেহরানে ফিরেছেন বলে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে।#
342/