‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

২ মে ২০২৪

৪:০৮:৩৭ PM
1455738

ফিলিস্তিনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নতুন প্রজন্ম, আর ইসরাইলের পক্ষে বড় বড় মিডিয়া

গত এপ্রিলে প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্ম, তাদের পুরানো প্রজন্মের বিপরীতে, ইসরাইলিদের তুলনায় ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।

সাম্প্রতিক 'পিউ' রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আমেরিকার তরুণ প্রজন্ম ইসরাইলিদের চেয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। জরিপ অনুযায়ী, ৩০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানদের এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন যে তারা সম্পূর্ণভাবে বা বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল। আর মাত্র ১৪ শতাংশ ইসরাইলিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।

এছাড়াও, এই জরিপ অনুসারে, তরুণ আমেরিকানরা ইসরাইলিদের চেয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে বেশি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে৷ এই সমীক্ষার ভিত্তিতে, ৩০ বছরের কম বয়সী ১০ জন আমেরিকানের মধ্যে ৬ জন ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ ইসরাইলিদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমেরিকান তরুণদের মধ্যে ইসরাইলিদের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তীব্রতর হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ৩০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ইসরাইলিদের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি ১৭ শতাংশ কমেছে।

এই জরিপ অনুসারে, আমেরিকানদের পুরানো প্রজন্মের তুলনায়, বর্তমান প্রজন্ম ইসরাইলের দিকে বেশি ঝুঁকছে।

বর্তমান গবেষণা অনুসারে, এর অন্যতম কারণ আগের ও বর্তমানের দুই প্রজন্মের তথ্যের উৎসের পার্থক্য। পুরানো প্রজন্মের লোকেরা তথ্য জানার জন্য আমেরিকার প্রভাবশালী মহলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও তাদের উৎপাদিত টেলিভিশন, নিউজ নেটওয়ার্ক এবং সংবাদপত্রের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু এখনকার প্রজন্মের মানুষ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলো থেকে তথ্য পায়, যেগুলি স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি স্বাধীন।

গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের ব্যাপক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই জরিপ চালানো হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের পূর্ণ সমর্থনে, ইসরাইল গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যাপক আগ্রাসন ও গণহত্যা শুরু করে।

সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৩৪,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে, ৭৭,০০০ এরও বেশি আহত হয়েছে এবং ১০,০০০ এরও বেশি নিখোঁজ হয়েছে।

ইসরাইল ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে যাদের বেশিরভাগ ইউরোপীয় তাদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে আনা হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের  অস্তিত্বের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা এবং তাদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করে ইসরাইল।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশ ইসরাইলের বিলুপ্তি এবং ইহুদিদের তাদের মূল দেশে ফিরে আসাকে এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় বলে মনে করে। ইরান বিশ্বাস করে যে ফিলিস্তিনি জনগণ এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হওয়া উচিত এবং একটি গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত যে তারা এই ইহুদি অভিবাসীদের গ্রহণ করতে চায় কি না।#


342/