‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

৩ মে ২০২৪

১:৫৬:১৬ PM
1455904

সুইজারল্যান্ডে জাতিগত বৈষম্য: প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন তীব্র বর্ণবাদের শিকার

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সুইজারল্যান্ডে আগের চেয়ে অনেক বেশি বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমবারের মতো এক রিপোর্টে দেখা গেছ, বেশিরভাগ বর্ণবৈষম্যের ঘটনা ঘটছে কর্মক্ষেত্রে নয় বরং স্কুলে।

১১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে তার ক্লাস রুমে একাধিকবার জাতিগতভাবে অপমান করা হয়েছে। আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংরক্ষণের কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং সহপাঠীরা তাকে কালো বলে অপমান অপদস্থ করে। এমনকি পুলিশ বাধ্য না হয়েও হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।  

সুইজারল্যান্ডে মানবাধিকার বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা এবং সুইজারল্যান্ডের বর্ণবাদ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সহযোগিতায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে তাতে সেদেশে বর্ণবাদের চিত্র উঠে এসেছে।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৮৭৬টি বর্ণবাদের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো ২০২২ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

শিক্ষা খাতে বর্ণবাদী আচরণ সম্পর্কে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে তার বেশিরভাগ ঘটনাই কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সাথে সম্পর্কিত।

একটি জরিপ অনুসারে, গত পাঁচ বছরে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে।

বর্ণবাদ বিরোধী একটি গ্রুপের পরিচালিত পর্যবেক্ষণ জরিপে বলা হয়েছে, ১৭ শতাংশ মানুষের অভিযোগ তারা বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে এমন বেশিরভাগের বয়স ১৫ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই জাতিগত বৈষম্য দেখা দেয়। জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে তারা তাদের দৈনন্দিন কর্মজীবনে বা চাকরি খুঁজতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

এছাড়া, ৩০ শতাংশ প্রকাশ্য জনসম্মুখে এবং ২৭ শতাংশ স্কুলকে জাতিগত বৈষম্যের প্রধান জায়গা বলে অভিহিত করা হয়েছে ওই জরিপে।

এর আগে, জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ ঘোষণা করেছিল যে, সুইজারল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ প্রতিদিন বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের দ্বারাও হেনস্থার শিকার হয়।

জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, তারা সুইজারল্যান্ডে জাতিগত বৈষম্যের বিস্তার বিশেষ করে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তাদের প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে, সুইস কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু এসব শক্তিশালী কাঠামোগত বৈষম্যে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।#