ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যখন মিশর ও কাতার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তখন ইসরাইল এই বম্বিং শুরু করল।
ফিলিস্তিনের একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি রাতের আকাশে অগ্নিশিখা দেখেছেন এবং স্থানীয় জনগণ বলেছেন, কয়েক ডজন ড্রোন তাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এবং মিশরের মিডিয়া বলছে, ইসরাইলি সামরিক যান মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং এবং ইসরাইল অধিকৃত কারেম শালোম ক্রসিংয়ের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
ফিলিস্তিনের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং মিশরের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি’কে জানিয়েছেন, রাফাহ শহরে ইসরাইলি ট্যাংক প্রবেশ করেছে এবং সেগুলো রাফাহ ক্রসিং থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রয়েছে।
বর্বর ইসরাইলি বাহিনীও বলছে, তারা রাফাহ শহরের পূর্বাঞ্চলে হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তারা রাফাহ শহরে স্থলাভিযান শুরু করেছে।
গাজা উপত্যকার রাফাহ হচ্ছে খুবই একটি ছোট্ট শহর যেখানে প্রায় ১৭ লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন। আশংকা করা হচ্ছে- ইসরাইল সেখানে আগ্রাসন শুরু করলে অবর্ণনীয় করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে এ ধরনের আগ্রাসনের জোরালো বিরোধিতা করা হচ্ছে।#
342/