এর একদিন আগে মস্কো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই মহড়া পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা অনুষ্ঠিত হবে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও তার মিত্রদের অব্যাহত ‘শক্তির রাজনীতির’ জবাব দেয়ার জন্য মস্কো এই মহড়া চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের অন্য পৃষ্ঠপোষকরা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছে এবং ইউক্রেন যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাচ্ছে তাতে পশ্চিমারা সরাসরি অবদান রাখছে। এছাড়া, পশ্চিমারা নানা ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে যাতে তারা রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করার সব ধরনের অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে। এছাড়া, আমেরিকা সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মধ্যম পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে যা রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে এ সমস্ত অস্ত্র নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু ২০১৯ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়।#
342/