আবনা : আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে গ্রেফতারের দাবি জানান হয়েছে। ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিতে লেখা এক নিবন্ধে এ দাবি জানিয়েছেন আরব এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞ ড. কেভিন ব্যারেট।kisinjar
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কট্টর সমালোচক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ড. ব্যারেট লিখেছেন, মার্কিন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার লাখ লাখ ভিয়েতনামবাসী হত্যাসহ অনেক যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর তিনি স্মরণকালের সবচেয়ে মারাত্মক দু’টি অপরাধ করেছেন। ১৯৭৩ সালের এ দিনটিতে চিলির প্রেসিডেন্ট সালেভেদর আলেন্দের হত্যার পথ প্রশস্ত করে দেন তিনি। মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আলেন্দেকে সরিয়ে দিয়ে জেনারেল পিনোশিওকে ক্ষমতা বসান হয়।
এই একই দিনেই নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার টুইন টাওয়ার বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ও ওয়াশিংটনে হামলায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়। এ হামলা পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন কিসিঞ্জার ।
৯/১১ প্রথম ঘটনার পরিকল্পনা তিনিই করেছেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই উল্লেখ করে ড. ব্যারেট লিখেছেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন কিসিঞ্জার। এ ছাড়া, মার্কিন গোপন তৎপরতার নিয়োজিত “৪০ কমিটির’ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আলেন্দেকে কম্যুনিস্ট হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তিনি কম্যুনিস্ট ছিলেন না , বরং ছিলেন গণতান্ত্রিক সমাজাবাদী। তিনি মনে করতেন, চিলির অর্থনীতি ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করবে দেশটির জনগণ- কিসিঞ্জারের দৃষ্টিতে এটাই হয়েছিল তার অপরাধ।
চিলি, আর্জেন্টিনা, স্পেন এবং ফ্রান্সের সরকারি কৌশলীরা কিসিঞ্জারকে আদালতে তলব করেছেন। পিনোশিওর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কিসিঞ্জারকে ৩০টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন চিলির বিচারক জুয়ান গুজম্যান। কিন্তু কিসিঞ্জার এ সব প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেন। এ ছাড়া, গ্রেফতার এড়ানো জন্য এক পর্যায়ে ফ্রান্স থেকে ভেগে যেতে বাধ্য হয়েছিলের কিসিঞ্জার।
এদিকে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে ঘটনায় কিসিঞ্জার জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যখন তাকে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির নির্বাহী পরিচালক করা হয়। অর্থাৎ ৯/১১ ঘটনাকে কি করে ধামাচাপা দিতে হবে তা মরণ পথের যাত্রী, এক বৃদ্ধের পক্ষে আমেরিকায় ১৯টি ছিনতাইয়ের অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়েছে- একথা কি বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরা কি সম্ভব ছিল? অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সত্যকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে, আসল অপরাধীদের গা ঢাকা দিতে সহায়তা করা হয়েছে। আর এ সবের সঙ্গে কিসিঞ্জার জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ড. কেভিন ব্যারেট।
অবশ্য ৯/১১ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিবাদের মুখে পরবর্তীতে কিসিঞ্জারকে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।#
৯/১১ ঘটনাবলীতে জড়িত থাকার দায়ে কিসিঞ্জারের গ্রেফতার দাবি
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪ - ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ- News Code : 637016
- Source : islamicnews24
আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে গ্রেফতারের দাবি জানান হয়েছে।
