লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে ইহুদিবাদী ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির অবসান ঘটবে।

সাইয়েদ ইবনে তাউস বলেন, যখন ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর পরিবারের যুবকদের ও বন্ধুদের লাশ দেখতে পেলেন তখন তিনি শহীদ হওয়ার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলেন এবং উচ্চ কণ্ঠে বললেন, “কেউ কি আছে আল্লাহর রাসূলের পরিবারকে রক্ষা করবে? তওহীদবাদী কেউ কি আছে যে আল্লাহকে ভয় করবে আমাদের বিষয়ে? কোন সাহায্যকারী কি আছে যে আল্লাহর জন্য আমাদেরকে সাহায্য করতে আসবে? কেউ কি আছে যে আমাদের সাহায্যে দ্রুত আসবে আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারের বিনিময়ে?”

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইহুদিবাদি ইসরাইলের আরও একটি পাইলটবিহীন বিমান বা সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ'র উপ-মহাসচিব শেখ নায়িম কাসিম বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেকোনো আগ্রাসনের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে, তবে এর ধরণ সম্পর্কে এখনই কিছু প্রকাশ করা হবে না।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ইহুদিবাদী ইসরাইলকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছেন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর অবস্থানে ইসরাইলের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ইরানের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি বলেছেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিরোধের মাধ্যমে বর্তমান বিশাল অবস্থানে পৌঁছেছে। তিনি আজ তেহরানে জুমার নামাজের খুতবায় এ কথা বলেন।

আজ ঐতিহাসিক গাদির দিবস। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ সারা বিশ্বের নানা অঞ্চলে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ ঈদ উৎসব। প্রায় ১৪২৭ বছর আগের কথা। দশম হিজরির ১৮ ই জিলহজ বিদায় হজ শেষে সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-কে ‘গাদীর’ নামক স্থানে নিজের উত্তরসূরি বা স্থলাভিষিক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে কেউ আগ্রাসন চালালে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে। ইরানের বিরুদ্ধে হামলা হলে গোটা প্রতিরোধ শক্তি যুদ্ধের ময়দানে হাজির হবে বলেও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে হিজবুল্লাহ।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ’র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের অবস্থান ও মর্যাদা আগের চেয়ে বেড়েছে। গতকাল (বুধবার) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্বের আরো বহু দেশের মতো ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানেও আজ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানী তেহরানের পাশাপাশি সারাদেশের সব শহর ও গ্রামে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামী বিশ্বের বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ, যার কিছু অংশ বর্তমানে হজ্জ পালন করছেন, তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক দায়িত্ব রয়েছে। এই শিক্ষাগুলো তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের জনগণের মধ্যে প্রচার ও বিস্তার ঘটাতে হবে। সকলের মধ্যে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা, অনুপ্রেরণা, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বিনিময় করতে হবে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দেশের তরুণ-তরুণীদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সীমানা আরো বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব তরুণ-তরুণীকেই দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের মর্যাদা বাড়াতে হবে।

ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানি বলেছেন, তার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞার মধ্যদিয়ে আমেরিকার চূড়ান্ত পরাজয় স্পষ্ট হয়েছে।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইরানের আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক সমর্থন ও সহযোগিতার কারণেই ইসলামী প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয় লাভ করছে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা করেছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে হাস্যকর ও বেআইনি বলেও আইআরজিসি মন্তব্য করেছে।