(ABNA24.com) জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মাদ কানুনু’র বরাত দিয়ে আলকুদস আল আরাবি এ খবর দিয়েছে। কানুনু বলেছেন, ‘উইং লুং’ (Wing Loong) শ্রেণির ড্রোনটি ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত ছিল এবং হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে এটিকে গুলি করে নামানো হয়।
কানুনু আরো বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাত লিবিয়ার যুদ্ধাপরাধী জেনারেল খলিফা হাফতার ও তার সন্ত্রাসী মিলিশিয়াদের সমর্থনে ড্রোনটি লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল।”
সংযুক্ত আরব আমিরাত চীনের কাছ থেকে ড্রোন কিনে তা খলিফা হাফতারের কাছে হস্তান্তর করছে বলে লিবিয়ার জাতীয় সরকার অভিযোগ করছে।
২০১১ সালে সশস্ত্র গণঅভ্যুত্থানে লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মোয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর দেশটিতে দু’টি সরকার কাজ করছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় ত্রিপোলি শহর-ভিত্তিক জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ফায়েজ সিরাজ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজ এই সরকারকে সমর্থন করছে।
অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলীয় তোবরুক শহরকে কেন্দ্র করে জেনারেল খলিফা হাফতার ও তার মিলিশিয়া বাহিনী বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে খলিফা হাফতার মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রকাশ্য সমর্থন নিয়ে ত্রিপোলি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। কিন্তু এক বছর পরও জাতীয় ঐক্যমত্যের পতন ঘটানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে এই এক বছরের সংঘর্ষে শত শত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
..............
340