‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

২৩ ডিসেম্বর ২০২০

৯:০৮:৫৭ AM
1098702

'বেআইনিভাবে' ধর্ম পরিবর্তনের জন্য উত্তর প্রদেশে ৬ মুসলিমকে গ্রেফতার

'বেআইনী ধর্মান্তর নিষিদ্ধ' আইনের আওতায় উত্তর প্রদেশের এটাহ জেলায় ছয়জন মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে, পুলিশ এখনও আরও পাঁচ জনকে খুঁজছে। আজ (মঙ্গলবার)এনডিটিভি হিন্দি ওয়েবসাইটে ওই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ২১ বছরের এক হিন্দু মেয়ের বাবা উত্তর প্রদেশের এটাহ জেলার জলেসারে এফআইআর করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে একজন মুসলিম ব্যক্তি ও তার আত্মীয়রা তাঁর মেয়েকে ধর্মান্তরকরণ এবং বিবাহের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে গত ১৭ নভেম্বর মেয়েটি বাজারের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় ধর্মান্তরের সাথে সম্পর্কিত নয়া আইনে মামলা করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য  পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক অভিযুক্তদের বিষয়ে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার এটাহ পুলিশ জানিয়েছে, ‘জলেসার এলাকায় মেয়েটিকে প্রতারণা ও জোর করে ধর্মান্তরের মধ্য দিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় পলাতক আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আধা ডজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে ধর্মান্তর ইস্যুতে নয়া আইনকে তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে।  অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিসহ অনেকেই আইনটিকে ‘অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছেন।

ভারতে গত ২৮ নভেম্বর বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে 'বেআইনি ধর্ম পরিবর্তন অধ্যাদেশ' জারি হয়েছে। রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছেন। দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে এ ধরণের অধ্যাদেশ কার্যকর হয়েছে। এটিকেই কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী অধ্যাদেশ বলে মনে করা হচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা লাভ জিহাদ সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্সকে অনুমোদন দেয়। এরপরে, এটি অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দাবি- মুসলিম তরুণরা হিন্দু তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে কৌশলে ধর্মান্তর করায়। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি। আইনেও ‘লাভ জিহাদ’ -এর অস্তিত্ব নেই।

342/