আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ‘মহানবি (স.) এর সহযোগী আবু তালিব (আ.) আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ গতকাল ১৯ মার্চ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।
এ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে হিজবুল্লাহ বাহিনীর ডেপ্যুটি প্রধান শেখ ঈসা কাসেম ইসলাম ধর্মের প্রতি হজরত আবু তালিব (আ.) এর খেদমতের বিষয়ে বলেন: তিনি আল্লাহর রাসুল (স.) এর পৃষ্ঠপোষক ও সহযোগী ছিলেন। তিনি ছিলেন বনি হাশিমের গোত্রপতি এবং কুরাইশের মাঝে বিশেষ স্থান ও মর্যাদার অধিকারী। নবুয়্যত ঘোষণার পর থেকে মক্কায় দীর্ঘ ১০ বছর তিনি আল্লাহর নবি (স.) এর পাশে ছিলেন।
তিনি বলেন: হজরত আবু তালিব (আ.) ছিলেন রেসালাতের পৃষ্ঠপোষক ও সহযোগী। তিনি স্বীয় সন্তান জাফারকে আল্লাহর রাসুল (স.) এর পেছনে নামাজ আদায়ের জন্য উৎসাহিত করতেন। এছাড়া তিনি আল্লাহর রাসুল (স.) এর প্রতি হজরত হামযা (আ.) এর ঈমান আনয়নের বিষয়টির প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেন।
যদি হজরত আবু তালিব (আ.) মহানবি (স.) এর পাশে না থাকতেন তাহলে মুশরিকরা কোন অবস্থাতেই আল্লাহর রাসুল (স.) কে ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদানের অনুমতি দিত না এবং এমনকি তাঁকে তারা হত্যা করত।
শি’বে আবু তালিব (আ.) এর ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে নাঈম কাসেম বলেন: বনি হাশিমের সাথে হজরত আবু তালিব (আ.) নবুয়্যত ঘোষণার ৭ম বছর থেকে ১০ম বছর পর্যন্ত শিবে আবু তালিবে অর্থনৈতিক অবরোধের মাঝে দিন কাটিয়েছেন। বে’সাতের ১০ম বছরে যখন হজরত আবু তালিব (আ.) ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.) ঐ বছরকে ‘আমুল হুযন’ তথা শোকের বছর বলে ঘোষণা দেন। তিনি (স.) বলেন, ‘আমি আমার চাচাকে শাফায়াত করবো’; হজরত আবু তালিব (আ.) এর ঈমানের বিষয়ে এরচেয়ে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে, তিনি বিশেষ মর্যাদা ও স্থানের অধিকারী ছিলেন।#176