আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : পুড়ে যাওয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করে রোহিঙ্গা এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন রেডিও তেহরানকে জানান, তারা মিয়ানমার থেকে যে দুর্দশা নিয়ে এসেছিল এখন তার চেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। তাদের মাথা গোঁজার আশ্রয় পেতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এখনও শ’খানেক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
গত সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ১০ হাজারের বেশি বসতি। আগুনে পুড়ে মারা গেছে ১১ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন জানান, গঠিত তদন্ত কমিটি ৩ দিনের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবে।
এদিকে, উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রোহিঙ্গারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর ভাসমান হয়ে পড়া রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই যাতে লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ নেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ভাসমান হয়ে পড়ার সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যেন কোনোভাবেই লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
342/