আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ দিয়ে তাড়িয়ে পুলিশে অভিযোগ করে ডোমজুড়ের ছেলেদের গ্রেফতার করিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।
ওই বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এরআগে বলেন, ‘এখন উনি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছেন! ভোটের পাঁচ দিন আগে বাঁকড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী লোকদের নিয়ে এসে মিছিল করে দাঙ্গা বাধাতে চেয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের নির্দেশে পুলিশ সেই মিছিল আটকেছিল।’
এদিকে, আজ রোববার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘আমাদের দলটা হল অক্সিজেন পার্লার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, যাঁকে ছেড়ে গেলে অক্সিজেনের অভাব হবেই। যাঁরা দলে থেকে বলেছেন, দমবন্ধ হয়ে আসছে, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলব অন্য কোনও দলে এত অক্সিজেন পাবেন না।’
বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হওয়ার মধ্যে গতকাল (শনিবার) তিনি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাতে যান। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা নিছক একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তার বাইরে কিছু না। কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি কটাক্ষ করে বলেন, ‘গত পাঁচ/ছয় মাস ধরে কখনও সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ দেখা যায়নি। গত (শুক্রবার) মুকুল রায় তৃণমূলে এসেছেন। তারপর শনিবার সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ! কুণাল ঘোষ আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-এঁরা দুজনেই কী শুধু বুদ্ধিমান লোক? আমরা কী শুধু গরু-ছাগল? কিছুই বুঝি না!’ সব মিলিয়ে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফেরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।#
342/