‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

২৬ জুন ২০২১

১১:৫৬:২১ AM
1153927

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল না হলে দল জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী হব না: মেহবুবা মুফতি

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি জানিয়েছেন, রাজ্যে ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহবুবা বলেন, তার দল নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের একটি বৈঠক ডাকায় তিনি অবাক হননি বলেও জানান মেহবুবা।

তিনি বলেন, রাজ্যে নির্বাচনের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কিছু উপায় বের করতে হবে। জনগণের আত্মবিশ্বাস ভেঙে গেছে। এ অঞ্চলে প্রচুর আত্মহত্যা হচ্ছে, মানুষজন হতাশার মধ্যে রয়েছে।

মেহবুবা মুফতিকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন আমন্ত্রণ করা হয়েছে, যখন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতির অভিযোগ রয়েছে। তখন তিনি বলেন, আপনি এটি ভুল ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তর কেবল প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই দিতে পারবেন।

মেহবুবা বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে অনেক অত্যাচার হচ্ছে। মানুষ শ্বাস নিতেও পারে না। জম্মু-কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি তেমন নয়, যেমন তারা বিশ্বের কাছে পেশ করছে। লোকেরা অসন্তুষ্ট এবং দমবন্ধ বোধ করছে। আমরা সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মানের জন্য গিয়েছিলাম। যেদিন থেকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ ধারা বাতিল করা হয়েছিল, লোকেরা ভয় পাচ্ছে যে রাজ্যের ডেমোগ্রাফি পরিবর্তিত হবে সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে এই আশঙ্কা নিরসন করা দরকার। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে বলেও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেন।     

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জম্মু-কাশ্মীরের ১৪ টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কমপক্ষে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে মেহবুবা মুফতিসহ অন্য নেতারা অংশগ্রহণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।   

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়- লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। সেরাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানে কার্যত রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে। অবশেষে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরে এটিই ছিল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে প্রথম বৈঠক।#       

342/