আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : পরে তাঁদেরকে কোলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে দলটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি, তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম সাধারণ মানুষ কীভাবে করোনা পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা আইএসএফের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকারের দলদাস পুলিশ আমাদেরকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়।
আইএসএফের পক্ষ থেকে আজ (শনিবার) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। সেজন্য বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে কোলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ ওই কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও অন্যদেরকে আটক করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি নিয়েছিলেন আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। সেই কারণেই তাঁদের আটক করা হয়।
অন্যদিকে, বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে বাংলায় সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আমরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম। কিন্তু কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ, কোলকাতা পুলিশের ওই তৎপরতা এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি এক বার্তায় বলেন, দেখা যাচ্ছে বিজেপিবিরোধী কোনও আন্দোলন হলে তৃণমূল সরকারের কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে তিনি এনআরসি-এনপিআর বিরোধী আন্দোলনের সময়ে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেন।#
342/