আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : এরআগে রাজ্যপাল আচার দেবব্রতের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র দেন বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। গুজরাটের কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেল বিজয় রূপাণীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনার ধাক্কায় রাজ্যের অর্থনীতি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও বিজেপি নেতৃত্ব গুজরাটের কথা না ভেবে রাজনৈতিক সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
আজ সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বদলায়। এ বার দায়িত্ব যাবে অন্য কারও কাছে। আমাকে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করব।’ ইস্তফা দেওয়ার পরে বিজয় রূপাণী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই বিজেপি গুজরাটে বিধানসভা ভোটে লড়বে।’ গুজরাটে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত ভোট হওয়ার কথা।
২০১৬ সালে বিজয় রূপাণী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ’র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কঠিন লড়াই হলেও প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে গত দু’মাসে তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পালটে ফেলল বিজেপি। কর্ণাটক এবং উত্তরাখণ্ডের পরে এবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবিদার ছিলেন নীতীন প্যাটেল। তিনি গুজরাটের প্রভাবশালী পাটিদার সম্প্রদায়ের নেতা। সেবার তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এবার কী তাহলে নীতীন প্যাটেলই মুখ্যমন্ত্রী হাতে উঠতে চলেছেন সেই জল্পনাই এখন রাজনৈতিক মহলে চলছে।#
342/