আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিমকে আটক করেছে এপিবিএন সদস্যরা। এ নিয়ে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রী
রোহিঙ্গা নেতা মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহর হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ দৃঢ়তা প্রকাশ করে বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। গত বুধবার রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ওদিকে এক বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শুধু হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার নয়, মুহিবুল্লাহর হত্যার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা খুঁজতে দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন একটি তদন্ত চালানো উচিত।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও রোহিঙ্গা নেতা হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছে।#
342/