‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

১৪ নভেম্বর ২০২১

৯:৪৬:৩২ AM
1198299

'সরকারের একটি মহল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্রকে লালন-পালন করছে'

সরকারের একটি মহল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্রকে লালন-পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রবিউল আলম মোকতাদির চৌধুরী।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : গতকাল (শনিবার) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুন:চালুকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

চলতি বছরের ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ২৩২ দিন পর গতকাল থেকে এই স্টেশনে পুরোদমে আগের শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি  পুনরায় চালু  করেন। সেখানে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য রবিউল আলম মোকতাদির চৌধুরী বলেন, 'সরকারের একটি মহল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্রকে লালন পালন করছে, আমি তার বিরোধিতা করি। কিভাবে সরকারের একটি মহল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্রকে লালন-পালন করে যাচ্ছে তার আমি প্রমাণ দিতে পারি। কিন্তু উপরে থুতু দিলে নিজের গায়ে পড়ে সেজন্য এখন প্রমাণ দেওয়া হচ্ছে না।'এই মহলটি যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না, তারাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'প্রথমে হেফাজতের নেতারা বলেছেন তাদের কোন লোক হামলায় অংশ নেয় নাই, কিন্তু এক সপ্তাহ পরে তারা ২০ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে বহিষ্কার করে বলেছে-এরা হামলায় জড়িত ছিল। তারা মিথ্যাবাদী এবং প্রতারক।'এই সংসদ সদস্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, 'যে ২০ জনকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিনা? তাদের অবস্থান কোথায়, তারা গ্রেপ্তার হয়েছিল কিনা?'

তিনি আরও বলেন, '২০১৬ সালে নাসিরনগরে ঘটা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর আমি সরকারের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছিলাম। কিন্তু তা করা হয় নাই। মাত্র একটি মামলার চার্জশিট হয়েছে, বাকি মামলাগুলোর চার্জশিট এখনো দেওয়া হয় নাই। সেদিনও সরকারের একটি মহল সমস্ত ঘটনা আমার কাঁধে দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাতেও তাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর গিয়েছে ২৮ মার্চের ঘটনার পেছনে উস্কানিদাতা আমি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলাম- ২৮ তারিখের ঘটনার যদি আমি উস্কানিদাতা হয়ে থাকি, তাহলে ২৬ তারিখের ঘটনার উস্কানিদাতা কে? তিনি সেদিন নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন, উত্তর দিতে পারেন নাই।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, 'আমি জানি এই মামলাগুলোর যদি সঠিকভাবে তদন্ত করা হয় তাহলে সরকারের ভেতরকার মহলের অনেকেই এটার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়বে।'

হেফাজতের নেতাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ভাঙচুর ইসলামসম্মত এটা প্রমাণ করতে পারলে আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইবো। আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আপনারা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবেন।'#

342/