আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : কংগ্রেসের এমপি মাণিক্কম ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেছেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বধীন এই সরকার সংবিধান মেনে দেশ চালায় না, কিন্তু ঘটা করে সংবিধান দিবস পালন করে।’ এই অনুষ্ঠানকে তিনি মোদি সরকারের জনসংযোগ অনুষ্ঠান (পিআর প্রোগ্রাম)’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেছেন, 'বছরের বাকি দিনগুলোতে সংবিধানের ওপর আঘাত হেনে, সংসদের সেন্ট্রাল হলে একদিনের উৎসব পালন।'
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে টার্গেট করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকে যে ভাষণ দিয়েছেন, সেই ভাষণ কী খুব বৈধ হয়? সবাই জানেন, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আমাদের সংবিধান কার্যকরী হয়। এরআগে সংবিধান কার্যকরী হয়নি। সব জেনেবুঝে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের মর্যাদাকে খাটো করার জন্য এই সমান্তরাল সংবিধান দিবসের প্রস্তাবনা উনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৫ সাল থেকে চালু করেছেন। এটার বৈধতা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে খুব থাকবার কথা নয়।
দ্বিতীয়ত, ভারতবর্ষের সংবিধান বিষয়টা ওদের পছন্দ হবে কেন? সংবিধান তো ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম সঞ্জাত। সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে যাদের ভূমিকা ছিল বিশ্বাসঘাতকের তারা হঠাৎ করে যারা সংবিধান মানে না, যারা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা মানে না, ধাপে ধাপে তা বদল করার চেষ্টা করছে, তারা এটাকে তাদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। ওরা কী স্বাধীনতার সাল ১৯৪৭ মানে? না কী ২০১৪ সালকে (নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী) স্বাধীনতা বলে মনে করে? ওরা কী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস বলে মানে? ওদের সমস্ত বিশ্বাসগুলো তো আলাদা! স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে কোনও দায়বদ্ধতা ওদের নেই সেজন্য ওরা নিজেদের মতো করে শুরু করেছে।’ ২০১৫ সালের আগে ২৬ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে কোনোদিন পালিত হয়নি বলেও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মন্তব্য করেন।#
342/