‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

১৬ ডিসেম্বর ২০২১

১২:১৩:৫৮ PM
1209149

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতিকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতিকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা অনুষ্ঠানস্থলে যোগদানের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী শপথ পাঠবাক্য পাঠ করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে শেখ রেহানা দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী আজ বিজয় দিবসে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৩০ লাখ শহীদের প্রতি। এ ছাড়া ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং সারা দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি স্মরণ করেন। একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ বাক্যে যা আছে

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।

আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না- দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত বিশেষ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

এর আগে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ চিঠি পাঠানো হয়।

ওই চিঠিতে সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। দেশের অন্যান্য স্থানের সবাই সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।#

342/