‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

১৮ ডিসেম্বর ২০২১

৩:৫৩:৫২ PM
1209794

র‍্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবারো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে অভিহিত র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে আরও এক দফা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : এর আগে  ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে  ফোন করে  কথা বলেছেন।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে না। যে ব্যক্তি মানবতা ভঙ্গ করল, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলল, সেই রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ  তারাই আবার আইনের কথা বলে, মানবতার কথা বলে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা (দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করব।

র‌্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে, তোমরা (যুক্তরাষ্ট্র) জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও- র‌্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, ‘র‌্যাবের প্রতি মানুষের একটা আস্থা আছে।  কারণ তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এটা (যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে- এমন রিপোর্ট করতে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,  আমরা ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস ঘোষণা করতে চাই। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিলে এটা ত্বরান্বিত করা সহজ হবে। প্রবাসীরা নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হয়। এজন্য আমরা এই দিবসটা পালন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি উল্লেখ করেন, প্রবাসীরা  দেশে এসে দেখছেন প্লেনের ভাড়া বেড়ে গেছে। এতে করে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তাই প্লেনের ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, আগামীতে ই-ভিসা চালু করা হবে এই প্রজেক্ট হাতে আছে। প্রবাসীরা বিদেশে বসে পার্সপোট পেলে এনআইডি কেন পাবে না। তারা যাতে বিদেশে বসে এনআইডিটা পায় সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন আমাদের দেশে ১ কোটি ২০ লাখ অভিবাসী কর্মরত রয়েছে। কোভিডের কারণে এই খাতে চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। প্রবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন। অভিবাসীদের জোর করে যেন দেশে না পাঠায় সেজন্য আমরা সেই সময় বিভিন্ন দেশে কথা বলেছি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। #

342/