‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
সোমবার

২৭ ডিসেম্বর ২০২১

৭:০৭:২৫ PM
1213075

উত্তর প্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার

ভারতে যেসব শরণার্থী বহু বছর ধরে নাগরিকত্বের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ/ক্যা) বাস্তবায়নের উপহার পেতে পারেন। ২০১৯ সালে ‘সিএএ’ সংসদে পাস হওয়ার পর এতদিনেও তা কার্যকর করা হয়নি, কারণ, এর বিধিমালা সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : নির্ভরযোগ্য সূত্রকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশ, কেন্দ্রীয় সরকার এবার ‘সিএএ’ কার্যকর করার মনস্থির করেছে। মনে করা হচ্ছে, উত্তর প্রদেশসহ পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ক্রমাগত জোর দিয়ে আসছে যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের সঙ্গে ন্যায়বিচার (নাগরিকত্ব প্রদান) করা উচিত। বলা হচ্ছে, সরকার থেকে সঙ্ঘের নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এবার বিধিমালা প্রণয়নের ১০ জানুয়ারির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য কোনও অনুরোধ করা হবে না এবং তার আগেই ‘সিএএ’-এর বিধিগুলো ঠিক করে ‘সিএএ’ কার্যকর করা হবে।     

কেন্দ্রীয় সরকার এমন সময়ে ওই পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে, যখন উত্তর প্রদেশসহ ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা সরকার। মুসলিমদের পক্ষ থেকে এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই আইনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। দিল্লির শাহীনবাগেও ওই ইস্যুতে এর আগে দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘এনআরসি ও সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।     

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বলেছিলেন,  সারা দেশে কোভিড টিকা দেওয়া শেষ হওয়ার পরে, ‘সিএএ’ কার্যকর করা হবে। বর্তমানে টিকা প্রদান কর্মসূচি কার্যত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন থাকা বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৩০ টি বিধানসভা আসনে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ১.৫ কোটি ভোট রয়েছে বলে মনে করা হয়।  

কোনও আইন তৈরির পরে তার বিধিমালা ৬ মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হয় যাতে সেই আইন কার্যকর করা যায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাস হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তা কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এর বিধিমালা ঠিক করা হয়নি। বিধি প্রণয়নের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালের অক্টোবর, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০২১ সালের মে মাসে সংসদের অধীনস্থ আইন প্রণয়ন কমিটিগুলোর কাছ থেকে সময়সীমার বর্ধিতকরণ চেয়েছিল। এবার সরকারের কাছে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারী সময়সীমা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার আর মেয়াদ বাড়াতে চাইবে না।

১০টি রাজ্য জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’র (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছে। কিন্তু তাদের কারোরই সরাসরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা ‘সিএএ’/ক্যা’র বিরোধিতা নেই। সেজন্য, সরকার আশা করছে, রাজ্যগুলোও ওই আইন বাস্তবায়নে বাধা দেবে না।#         

342/