‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

৩০ ডিসেম্বর ২০২১

১:২৭:৩৯ PM
1213818

একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • করোনার সংক্রমণ বাড়লে স্কুল আবার বন্ধ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী: প্রথম আলো
  • সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • বাসার ছাদেও থার্টি ফার্স্ট নাইট নয়: ডিএমপি-দৈনিক ইত্তেফাক
  • প্রধানমন্ত্রীর শিখিয়ে দেয়া কথাই বলছেন আইনমন্ত্রী: রিজভী-- দৈনিক মানবজমিন
  • বিএনপি ভোটে আসবে: ওবায়দুল কাদের : যুগান্তর
  • দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • বর্ষবরণের উৎসব থেকে বিরত থাকুন, টিকা নিলেও সাবধান! ওমিক্রন কিন্তু ভয়ঙ্কর সংক্রামক’- দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • এখনই লকডাউনের পথে হাঁটছে না রাজ্য, ইঙ্গিত মমতার ’ আজকাল
  •  চুলোয় পাঁচ রাজ্যের ভোটপ্রচার, বর্ষবরণের আগে ফের বিদেশ গেলেন রাহুল গান্ধী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা!

শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (৩০ ডিসেম্বর)
১. খালেদা জেলে গিয়ে আবেদন করলে আলোচনা হতে পারে। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে একথা বলেছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কী বলবেন আপনি?
২. সৌদি রাজা সালমান বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজকে সহযোগিতা করছে না ইরান। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

করোনার সংক্রমণ বাড়লে স্কুল আবার বন্ধ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছেন। নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে স্কুলগুলো হয়তো চালু রাখা সম্ভব হবে না। সে কারণে, অনলাইন শিক্ষাটা যাতে প্রত্যেক ঘরে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও এ–সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু রাখতেই হবে। কারণ করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আমরা সব সময় লক্ষ করেছি, শীতে এর প্রাদুর্ভাবটা বেড়ে যায়। কাজেই, এখন থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেই প্রস্তুতিটা নিতে হবে।’

করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান অভিযান সহজলভ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কেউ আবার সংক্রমিত না হয় (করোনাভাইরাস দ্বারা) এবং কেউই যেন টিকা দান কভারেজের বাইরে না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে হবে।’

এই করোনার মধ্যেও ফলাফল ঘোষণার সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এবার করোনার কারণে ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে এবং ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণির বই দেওয়া হবে। এবারে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন।এর আগে মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য দেন।

সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার কোনো কাজই আইনের বাইরে করতে পারে না। সরকারের কিছু করার থাকলে সেটাকে আইনের ধারায় এনে করতে হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ওকাব (ওভারসিজ করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ) আয়োজিত মিট দ্যা ওকাব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ওকাব-এর আহবায়ক কাদির কল্লোল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। 

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে পরিবারের দরখাস্তের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তার আত্মীয়-স্বজন একটা দরখাস্ত করেছিলেন। সেখানে কোনো আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। তারপরও সেই দরখাস্তকে গণ্য করে ফৌজদারি আইনের ৪০১ ধারার বিধান অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দিয়েছে। শর্ত হলো তিনি বাসায় চিকিৎসা নেবেন, কিন্তু বিদেশ যেতে পারবেন না। 

আনিসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন না হলেও সেদিন আনন্দ করে তার জন্মদিন পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনি লে. কর্নেল আবদুর রশিদকে ১৯৯৬ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। তার ছোট ছেলে মারা গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে বাসায় গেলে তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) মুখের সামনে গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতকিছুর পরও তাকে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন মানবিকতার প্রশ্ন ওঠে, প্রশ্ন রাখেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালের ভোট আমি ও আপনারা দেখেছেন। হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভোট দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৪ সালে আমি নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার নিজের তোলা ছবি আছে, মানুষ ভোট দিতে গেছেন। আমি দেখাতে পারব। যখন আমি নির্বাচন করেছিলাম জনগণের কাছে আমার বার্তা ছিল, ভোট কেন্দ্রে জান। সেখানে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করুন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও আমরা চেষ্টা করেছি যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের কেন্দ্রে মানুষ না আসার কালচার কবে থেকে চালু হয়েছে, এটা আমার মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। ১৯৭৫ এর পরে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার যে প্রভাব তা এখনও বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে দূর হয়নি। এ কালচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করা দরকার এ সরকার করার চেষ্টা করছে। মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ ভোটের বিষয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, কোন দল যদি নির্বাচনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে, মানুষ কি তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য বসে থাকবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি'র কার্যকলাপ আপনারা দেখেছেন। একটি আসন থেকে চারজনকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তিনি আবারও বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি, বলেন তিনি।

ওকাব টক অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি ভোটে আসবে: ওবায়দুল কাদের : যুগান্তর

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ধানমণ্ডিতে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে না এলেও ভোটকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ করতে’ বিএনপি ‘নির্বাচনে আসবে’ বলেই তার ধারণা।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। তবে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। দলটি অংশ নিয়েছিল ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপেও।

আগামী নির্বাচনেও বিএনপি ‘আসবে’— এমন ধারণা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নির্বাচনে আশার উদ্দেশ্য হচ্ছে— নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

‘কারণ তারা জানে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন অর্জনে জনগণের ভোটে বিএনপি জয়লাভ করতে পারবে না। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এটি হলো তাদের এজেন্ডা।'

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারই আইনটা হতো, মহামারির কারণে সংসদ অধিবেশন না হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এবার না হলেও আগামী বার হবে।

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম প্রমুখ।

বাসার ছাদেও থার্টি ফার্স্ট নাইট নয়: ডিএমপি-দৈনিক ইত্তেফাক

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও করোনা মহামারীর কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি/পটকা ফোটানো যাবে না। বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব নির্দেশনা জানান।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলো পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। 

ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে।

গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে। 

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে।  

নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ডিএমপি।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও ডিবি মাঠে সক্রিয় রয়েছে। নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই।

প্রধানমন্ত্রীর শিখিয়ে দেয়া কথাই বলছেন আইনমন্ত্রী: রিজভী-- দৈনিক মানবজমিন

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনমন্ত্রী এটা তো আপনার নিজের কথা নয় এবং আইনের বিধানও না। আইনে আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা আপনাকে যেটা শিখিয়ে দিয়েছেন, আপনি সেটাই বলেছেন। আপনি আইনের বিকৃত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির উদ্যোগে 'ভোটাধিকার হরণের কালো দিবস উপলক্ষ্যে' আয়োজিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।রিজভী বলেন, দেশের বরেণ্য আইনজীবীরা বলছেন যে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে তাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এভারকেয়ার হাসপাতালে বন্দি করে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পাকস্থলী থেকে রক্ত ঝরছে।খালেদা জিয়া ডাক্তাররা বলছেন, তার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

যেকোনো সময় একটা বড় বিপদ হতে পারে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী ও তার আইনমন্ত্রী এতো পাষাণ, এতো কঠোর এবং এতো নির্দয়!আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত এবং প্রতি মুহূর্তে উন্নয়নের কথা বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারা নাকি অনেক উন্নয়ন করেছে। এটা তারা বলেন। উড়াল সেতু, ফ্লাইওভার- কত কী বলে। কিন্তু আসল উন্নয়নের কথা বলে না। তারা ১১/১২ বছর ধরে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ১১/১২ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা পাঁচার হয়েছে!মানববন্ধন কর্মসূচি কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মানববন্ধনস্থলে জড়ো হয়। এ সময় মিছিল থেকে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলেন।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে তৃতীয় নম্বরে ছিলেন। 

এদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেছেন আজ বৃহস্পতিবার। দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজই তার শেষ কর্মদিবস। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে হিসাবে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর।  দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন, তার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয়কে জানান। এরপর এ সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয়ে বঙ্গভবনে যায়। সেখানে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরের পর প্রধান বিচারপতি নিয়োগের গেজেট জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। 

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি আছেন। অন্যরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

বর্ষবরণের উৎসব থেকে বিরত থাকুন, টিকা নিলেও সাবধান! ওমিক্রন কিন্তু ভয়ঙ্কর সংক্রামক’- দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

হঠাৎ করে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য এমনকি, দেশ জুড়েই কোভিড সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে কোভিডের ওমিক্রন রূপ। কোভিডের অন্যান্য রূপের থেকে ওমিক্রন ঠিক কোথায় আলাদা, কতটা ভয়ঙ্কর, তার চিকিৎসা পদ্ধতিই বা কী? ওমিক্রনের হাত থেকে বাঁচতে গেলে কী কী ভাবে সতর্ক থাকা যায়, এগুলি জানাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

ওমিক্রন কী? ওমিক্রন কি কোভিডের থেকে আলাদা?চিনের উহানে প্রথম যে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছিল, ওমিক্রন তারই একটি ‘মিউট্যান্ট’ রূপ। গত প্রায় দু’বছর ধরে করোনাভাইরাস বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়াছে। কোভিড থেকে সুরক্ষিত থাকতে আমরা যেমন একাধিক নিয়মকানুন ও বিধি মানছি, তেমনই করোনাভাইরাসও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছে। সে কারণেই ভাইরাসটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রূপ এবং চরিত্রে বদল ঘটাচ্ছে। শুধু করোনা নয়, যে কোনও ভাইরাসই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে এটাই করে। তবে ওমিক্রন করোনার এমনই একটা রূপ, যা অত্যন্ত সংক্রামক বলে দেখা যাচ্ছে।

এখনই লকডাউনের পথে হাঁটছে না রাজ্য, ইঙ্গিত মমতার ’ আজকাল

কোভিড অতিমারির জেরে গত দু’‌বছরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই ওমিক্রন বাড়লেও এখনই সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের। বৃহস্পতিবার সাগর থেকে কলকাতা ফেরার পথে মমতা বলেন, ‘‌সারা বাংলায় সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা এখনই রাজ্য সরকারের নেই।’‌ মমতা বলেছেন, ‘‌কোভিডের জেরে দু’‌বছরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবার নতুন করে সব কিছু বন্ধের পথে যাওয়া সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি করবে। আমরা আর তা চাই না। পর্যালোচনা করে দেখা হবে, যদি কোথাও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়, তাহলে পকেটে পকেটে করা যেতে পারে। রিভিউ করে গোটা পরিস্থিতি টাইম টু টাইম আমরা জানাব।’‌ কেন পর্যালোচনা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কোভিড তো প্রায় ছ’মাস–আট মাস ছিল না। তাই অনেক জায়গায় কোভিড হাসপাতালগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই সার্বিকভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’ লোকাল ট্রেন এবং স্কুল–কলেজ বন্ধ নিয়ে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। কোভিডের অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটেন থেকে বিমানে যাঁরা আসছেন, তাঁদের বেশি ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এই ব্যাপারে নজর রাখা উচিত অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের। আবার অনেকে টেস্ট করাতে বিরক্ত হচ্ছেন। কিন্তু বিরক্ত হলে চলবে কী করে।’‌

 চুলোয় পাঁচ রাজ্যের ভোটপ্রচার, বর্ষবরণের আগে ফের বিদেশ গেলেন রাহুল গান্ধী-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ঘোষণা করে দিয়েছে, যতই ওমিক্রন প্রকোপ দেখাক না কেন উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। অর্থাৎ এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হবে আর আড়াই মাসের মধ্যে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কার্যত ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করছেন। অথচ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এ হেন গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে দলের কর্মীদের ফেলে রেখে চলে গেলেন বিদেশে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন রাহুল। ফিরবেন নতুন বছরে।

বুধবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ‘ব্যক্তিগত কারণে’ বিদেশ সফরে গিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে বিজেপি এবং বিজেপির বন্ধু সংবাদমাধ্যমগুলি যে গুজব রটাচ্ছে, সেটা বন্ধ হওয়া উচিত। রাহুলের বিদেশযাত্রার কথা স্বীকার করলেও, তিনি ঠিক কোন দেশে রয়েছেন, এবং ‘তাঁর ব্যক্তিগত কারণ’টি কী? সেটা স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস। আসলে, রাহুলের এই বিদেশযাত্রা দেশের রাজনৈতিক মহলের কাছে চিরদিনই রহস্যের। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এই বিদেশ সফরগুলি নিয়ে এর আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। কোনওবারই রাহুল বা দল কেউ সদুত্তর দিতে পারেনি। এবারেও ওয়ানড়ের সাংসদের গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি কংগ্রেসের তরফে।#

342/