‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

৩১ ডিসেম্বর ২০২১

৩:১৬:৩৯ PM
1214089

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু ৮ জানুয়ারি, ক্লাস ২ মার্চ থেকে

আগামী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়মাবলি প্রকাশ করে গত রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে সিলেকশনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। 

অনলাইনে ভর্তির জন্য আদেন ফি ১৫০ টাকা। সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে একজন শিক্ষার্থী। যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে মেধা কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে আগামী ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) ভর্তির আবেদন করতে হবে।

আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপতি নিষ্পত্তি করা হবে ১৭ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে।  আবেদন পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে আবেদনের দিন থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ২৯ জানুয়ারি রাত ৮টায়। সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে প্রথম পর্যায়ের সিলেকশন বাতিল হবে এবং আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ ৭ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায়। সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে এবং নতুন করে আবেদন করতে হবে।

তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন করতে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে। পছন্দক্রম অনুযায়ী মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তি ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।

ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৫ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসন কার্যকর থাকবে না।

প্রতিবন্ধী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

প্রবাসীদের সন্তান, বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বা খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।

বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বরপ্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বরের বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

 শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা

এদকে, ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে টিকার আওতায় আনতে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও  শিক্ষা অধিদফতর থেকেও একই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গত ২৯ ডিসেম্বরের সভায় ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন তথ্যের ভিত্তিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়।

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনা

ক) আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে যেসব ছাত্র/ছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন নেই এবং যাদের ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর তাদের পুনরায় নিবন্ধন সম্পন্ন করার বিষয়টি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিশ্চিত করবেন।

খ) আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্য সব ছাত্র/ছাত্রীর প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক তালিকা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানোর বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা নিশ্চিত করবেন।

গ) ৮-১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত দিনে ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিশ্চিত করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার জন্য সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।#

342/