‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

১:৩৩:২৭ PM
1224880

পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে নয়া বিধিনিষেধ, টুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়া বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে। একইসঙ্গে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আজ (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেন।

এদিকে, আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।    

আজ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নৈশ কারফিউয়ের সময় কিছুটা কমিয়ে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টার পরিবর্তে এবার থেকে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। একইসঙ্গে শুরু হবে পলিটেকনিক, আইটিআইয়ের ক্লাস। স্কুলে আপাতত অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। এ ছাড়া পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা চালু হবে। ছোটো ছোটো জায়গা বেছে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী আজ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে সুইমিং পুলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া থিয়েটার ও সিনেমা হলেও ৭৫ শতাংশ আসনে দর্শক নেওয়া যাবে এখন। স্থানীয় ভ্রমণকারীদের জন্য বিভিন্ন পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে যে বাড়ি বা এলাকায় আয়োজন করা হচ্ছে, তার মোট স্থান সংকুলানের ৭৫ শতাংশ অতিথিকে আমন্ত্রণ করা যাবে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। মিটিং মিছিলে সর্বাধিক ২০০ জনের সমাগম করা যাবে।   মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, আমাদের এখানে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ ছিল। আজ তা বাড়িয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে বেশকিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কখনও অফিসারদের, কখনও আমাকে, রোজই রাজ্যপাল কাউকে না কাউকে বাজে কথা বলছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। অসাংবিধানিক কথা বলছেন। আমি দুঃখিত, ক্ষমা চেয়ে  নিয়ে বলছি, আজ আমি আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছি।’ 

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের উত্থাপিত প্রশ্ন থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য ওনাকে টুইটারে ব্লক করেছেন। রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন এমন কোনও বিষয়ের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেননি বলেও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেন।#

342/