‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
সোমবার

৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

৯:২৯:৪৪ AM
1226816

গোরক্ষপুরে মুখ্যমন্ত্রী যোগির বিরুদ্ধে শামসুদ্দিনকে মাঠে নামালেন মায়াবতী

ভারতের উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন দশক পর গোরক্ষপুর সদরে কোনও বড় দলের মুসলিম প্রার্থীর মুখোমুখি হতে চলেছে বিজেপি।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : ওই কেন্দ্রে বিজেপি’র ফায়ারব্রান্ড নেতা ও বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ মাঠে  রয়েছেন। 

মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)তাদের দলের পুরনো কর্মী খাজা শামসুদ্দিনকে ওই আসন থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। খাজা শামসুদ্দিন পেশায় একজন সরকারি ঠিকাদার। বিএসপিতে তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন। বর্তমানে, তিনি বিএসপি’র গোরক্ষপুরের প্রধান সেক্টর ইনচার্জ। এটাই তার প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।

আজ (রোববার) হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’ সূত্রে প্রকাশ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে আলাপকালে খাজা শামসুদ্দিন বলেছেন, শুধুমাত্র ‘বিএসপি’ বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। স্থানীয় মানুষ সমাজবাদী পার্টির (এসপি) বিরুদ্ধে থাকায় এখানে দ্বিমুখী নির্বাচন হতে চলেছে। সমাজবাদী পার্টি এখান থেকে বিজেপি পটভূমি থেকে আসা ব্রাহ্মণ প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আমি এখানকার একজন স্থানীয় ব্যক্তি। 

খাজা শামসুদ্দিন আরও বলেন, তিনি কিছু ব্রাহ্মণ ভোটার ছাড়াও তার সমর্থনের জন্য মুসলিম এবং দলিত ভোটের উপর আশা করছেন। বিএসপি কিছুদিন ধরে তার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে আলোকিত শ্রেণি সম্মেলন আয়োজন করে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়কে তার পাশে আনার চেষ্টা করছে।  

গোরক্ষপুর সদর আসনটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিজেপি’র শক্ত ঘাঁটি। ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে বিজেপির শিব প্রতাপ শুক্লা এখান থেকে জিতেছিলেন। কিন্তু ২০০২ সালে তিনি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রার্থী রাধা মোহন দাস আগরওয়ালের কাছে হেরে যান। ওই নির্বাচনে যোগি আদিত্যনাথের সমর্থন ছিল রাধামোহন দাস আগরওয়ালের প্রতি। রাধা মোহন দাস আগরওয়াল ২০০২ সাল থেকে এই আসন থেকে বিধায়ক।       

২০১৭ সালে, গোরক্ষপুর সদর আসনে ২৪ জন প্রার্থী ছিল এবং ২০১২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে একজনও মুসলিম প্রার্থী ছিল না। যদিও এর আগের নির্বাচনগুলোতে যখনই কোনো কোনো দল মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে, কেউই ৩ হাজারের বেশি ভোট পায়নি।   ১৯৯৩ সালের নির্বাচনেও, বিএসপি এখান থেকে তাদের মুসলিম প্রার্থী জাফর আলী জিপ্পুকে প্রার্থী করেছিল। সেই নির্বাচনে জিপ্পু ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন।  

গোরক্ষপুর কেন্দ্রে বিজেপি’র ফায়ারব্রান্ড নেতা ও বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ এবং বিএসপি’র শামসুদ্দিন ছাড়াও এবার আজাদ সমাজ পার্টির (কাঁশিরাম) প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদও মাঠে রয়েছেন। গত মাসে কয়েকদিন গোরক্ষপুর সদর কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি।  

গতকাল শনিবার বিএসপি পূর্ব উত্তর প্রদেশের ১০টি জেলার ৫৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, যেখানে ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে। শনিবার ঘোষিত ৫৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জন ওবিসি, ১১ ব্রাহ্মণ, ১১ এসসি এবং ৭ জন মুসলিম প্রার্থী। 

আম্বেদকরনগর জেলার কাটেহরি আসনের জন্য সংসদ সদস্য রীতেশ পান্ডের চাচাতো ভাই প্রতীক পান্ডেকে টিকিট দিয়েছে ‘বিএসপি’। তার বাবা রাকেশ পান্ডে এই নির্বাচনে জালালপুর থেকে ‘এসপি’ প্রার্থী। প্রতীক পান্ডের বাবা পবন কুমার পান্ডে  আকবরপুরের সাবেক শিবসেনা বিধায়ক ছিলেন। সিনিয়র বিএসপি নেতা লালজি ভার্মা ২০১৭ সালে কাটহরি থেকে জিতেছিলেন কিন্তু গত বছর ‘এসপি’তে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তিনি ‘এসপি’র টিকিটে কাটহরি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।#

342/