‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

১১:৩৯:৩৩ AM
1231204

সংবিধান অনুযায়ী অবশ্যই একটি নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে: ড. হাছান মাহমুদ

সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্পষ্ট করেই বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী অবশ্যই একটি নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে। বর্তমান সরকার গত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিল, সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : তিনি বলেছেন, নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করতে পারে। সুতরাং বিএনপি যে ধোঁয়া তুলছে নির্বাচনকালীন সবাইকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করার, সংবিধান অনুযায়ী সেটি করার কোনো সুযোগ নেই।

আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জনের নাম প্রকাশের জন্য বেসরকারি সংস্থা সুজনের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুজন— এরা কারা? 

তিনি বলেন, সার্চ কমিটি যে ১০ জন সিলেক্ট করবে, আইন বলে এটি তাদের ক্ষমতা। সেটি প্রকাশ করবে কি করবে না একান্ত সার্চ কমিটির ব্যাপার। সেটির জন্য সুজন বলার কে? সুজন কি নির্বাচন করে? নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুজন কি এখানে স্টেকহোল্ডার? তা তো নয়। এখানে যারা নির্বাচন করেন, তারাই হচ্ছে স্টেকহোল্ডার। সুজনের এত দাদাগিরি কেন সেটিই আমার বড় প্রশ্ন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, যেই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এবং যেভাবে অংশগ্রহণমূলকভাবে এবার নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, আইন বলে সেটি অভাবনীয়। ৭৫ বছরের গণতন্ত্রের দেশ ভারতসহ কয়েকশ বছরের পুরোনো গণতন্ত্রের দেশেও এভাবে করা হয় না। এখানে সবার সঙ্গে বসা হয়েছে। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকদের বিভিন্ন ফোরাম, সুজনসহ যারা টকশো করেন তাদের সঙ্গেও বসা হয়েছে। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সেখানে গেছেন। এরপর যে নামগুলো জমা পড়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করে বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের ‘ফাঁদে’ আর পা দেবে না ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির আরো বলেন, ‘খুব কথা বলতে শুরু করেছে— আমরা সার্চ কমিটিতে নাম দেইনি কেন? এটা তো জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা। আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখেছি একইভাবে তাদের লোকজনকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন তৈরি করে। আমি অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলতে চাই— দেশের জনগণ আর সেই ফাঁদে পা দেবে না। তারা রুখে দাঁড়াবে, অবশ্যই উঠে দাঁড়াবে।’

এই ভয়াবহ গণতন্ত্রবিরোধী, বাংলাদেশের মানুষবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য তারা (জনগণ) জাতীয় ঐক্য তৈরি করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম মনে করেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দলের স্থায়ী  কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা। সেজন্য একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে, তাকে তত্বাবধায়ক সরকার বা যে নামেই ডাকা হোক না কেন।

ওদিকে, নির্বাচন কমিশনার গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি যে দশ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে তা তিন দিন আগে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগরহাসপাতালে 'কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিছু হলেই বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। তিনি  বলেন, যদি বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসকের পরিবর্তে ন্যায়ভিত্তিক, আদর্শভিত্তিক, জনগণের কল্যাণ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে প্রথম কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'র' এবং মোসাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা  আইনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা  উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল আইনকে বাতিল করতে হবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে চাই তাহলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে এবং পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কবরে পাঠানো হবে ৷ পরিষ্কারভাবে বলতে হবে র‍্যাবকে বিলোপ করা হবে৷ #

342/