‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

১০ মার্চ ২০২২

৩:৪৯:১৩ PM
1237981

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি

গণসংহতি আন্দোলন নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালততের নির্দেশ পালন না করায় এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) :আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এর আগে সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। জোনায়েদ সাকীর পক্ষে হাইকোর্ট এ মামলা করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। মামলায় সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়।

আদালতে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে। এ প্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী উচ্চ আদালতে রিট করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেওয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী, রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল আসেনি। পরে গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।’ নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত রুল জারি করলেন।  ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বিবাদী করা হয়। রুল অনুযায়ী, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে এর জবাব দিতে হবে।#

342/