‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

১৩ মার্চ ২০২২

২:০৮:১১ PM
1238814

ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা চীনা রাষ্ট্রদূতের

ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই চীনের বন্ধু। আমরা উভয় দেশকেই পরামর্শ দেই, আলোচনায় বসে এই সংকটের সমাধান করা প্রয়োজন। এই ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের অবস্থা প্রায় একই ধরনের। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান চাই।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) :আজ রোববার (১৩ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘স্প্রিং ডায়ালগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি কোয়াডসহ এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে চীন। এসব উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে চীন প্রত্যাশা করে।

‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন’-জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত এমন খবর প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এরকম খবর খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাবো। চীন কখনো অন্য কোনো দেশের ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা তৈরি করে না। তবে কোনো দেশ সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা চাইলে, চীন সহায়তা দিয়ে থাকে।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্প নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ একটি বড় সমস্যা। চীনা প্রকল্পগুলো এই সমস্যা ফেইস করছে। কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হতে চলেছে। পদ্মা সেতু আগামী জুনে চালু হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীন রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়। রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। কিছু অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। আমরা আশা করি এ বছর বড় একটি কিছু হবে। এ বছর বড় কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে দুইবার প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ঠিক করেছি দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ না হলে আমরা কোনও তথ্য প্রকাশ করব না।

চীনা রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন, উইগুরে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে পশ্চিমারা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। উইগুর ইস্যুতে জাতিসংঘের তদন্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানায় চীন।#

342/