৮২ সদস্য সমন্বিত বিধানসভায় আস্থা ভোটে সরকারের পক্ষে ৪৮টি ভোট পড়ে। অন্যদিকে, বিজেপি এবং এজেএসইউ দলের সদস্যরা এ সময় বিধানসভা বয়কট করে।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, ‘বিজেপির ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে, গণতন্ত্র বাঁচাতে এবং রাজ্যের সাড়ে তিন কোটি মানুষকে বার্তা দিতে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, তার সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকেই বিজেপি অন্য দলের বিধায়কদের ঘোড়া কেনাবেচা করার চেষ্টা করছে। আস্থা প্রস্তাবে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সমরী লাল সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি জাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে আইনসভার সদস্য হয়ে বসে আছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, তাকে ভয় দেখানোর কোনো চেষ্টা সফল হবে না। সকল বিরোধী দল দেখুক আমরা সবাই একসাথে আছি। আগামী নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের কোনও আসনেই জামানত বাঁচাতে পারবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপির সমালোচনা করে আরও বলেন, 'আজ তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় যে তারা এক রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের লড়িয়ে দিচ্ছে। তারা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে নির্বাচনে জিততে চায় কিন্তু আমি বলতে চাই, যতদিন এখানে ইউপিএ সরকার থাকবে ততদিন এ ধরনের পরিকল্পনা সফল হবে না। যারা ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ (সবার সঙ্গে সকলের উন্নয়ন)-এর স্লোগান দিয়েছিল তারা শুধুই ব্যবসায়ী। গরীবদের জন্য তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। অ-বিজেপি রাজ্যগুলোতে যে কোনও উপায়ে সরকারকে অস্থিতিশীল করার কাজ করা হচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের স্লোগান দিয়ে জনসাধারণকে রাস্তায় নামানো হয়েছে’ বলেও তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।#
342/