‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

৬ নভেম্বর ২০২২

৮:০৪:৫২ PM
1320930

নব্য-নাৎসিবাদ বিরোধী প্রস্তাবে পশ্চিমাদের বিরোধিতার সমালোচনা করলো রাশিয়া

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নাৎসিবাদের প্রতি সমর্থনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বিষয়ে রাশিয়া যে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে ১০৬ ভোটে তা অনুমোদন পেয়েছে। ১৫ টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল আর ৫১টি দেশ ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

এই দেশগুলোর বেশিরভাগই পশ্চিমা। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই প্রস্তাবের ব্যাপারে পশ্চিমাদের বিরোধিতার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন: জাতিসংঘে নব্য নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বিষয়ক রুশ প্রস্তাবের প্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা অনৈতিক কাজ। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহযোগিতাবিভাগের উপ-পরিচালকও এই প্রস্তাব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগে, পশ্চিমা দেশগুলো একটি ধারা যুক্ত করতে চেয়েছিল। ধারাটি হলো ইউক্রেনে রুশ বিশেষ অভিযানের নিন্দা জানানো। কিন্তু ওই সংশোধনী প্রস্তাব রাশিয়ার বিরোধিতার মুখে ভেস্তে যায়।

রাশিয়া বারবার ইউরোপে বিশেষ করে ইউক্রেনে নব্য-নাৎসিবাদী তৎপরতা ও আন্দোলন মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। সেইসঙ্গে আজভ রেজিমেন্টের মতো নব্য-নাৎসি গেরিলা গোষ্ঠীগুলোকে পাশ্চাত্যপন্থি কিয়েভ সরকার সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযুক্ত করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়াগুলো বারবার নাৎসিদের প্রমাণপঞ্জি ও নথিপত্র  দেখিয়েছে। তাদের মতে নব্য-নাৎসি নীতি ও বিশ্বাসের সাথে ওই রেজিমেন্টের সদস্যদের মিল রয়েছে। আজভ রেজিমেন্ট হল ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের নব্য-নাৎসি ইউনিটগুলোর একটি। এটি গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন থেকেই এই রেজিমেন্ট রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ইউক্রেনীয় স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেডগুলোর সঙ্গে মিলে লড়াই করে আসছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগেও চরমপন্থা এবং নব্য-নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। নব্য-নাৎসিবাদ বর্তমানে জার্মানি, ব্রিটেন এবং ইউক্রেনের মতো কিছু ইউরোপীয় দেশে বিস্তার লাভ করছে। অথচ এই পশ্চিমা দেশগুলোই নাৎসিবাদ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে। এই ঘটনা প্রমাণ করছে ইউরোপ-আমেরিকার নাৎসিবাদ বিরোধিতার দাবি ততক্ষণই করে যতক্ষণ ওই বাহিনী তাদের সরকারগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু ইউক্রেনে যেহেতু নব্য-নাৎসিবাদীরা তাদের গেরিলা গোষ্ঠিগুলোক সহায়তা করছে সেজন্য পশ্চিমারা মুখে কুলুপ এঁটেছে। এমনকি নির্লজ্জভাবে জাতিসংঘে উত্থাপিত নাৎসিবাদ বিরোধী প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করছে।#