‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

১৭ ডিসেম্বর ২০২২

৬:৩৪:০৫ PM
1331543

১১ ধর্ষক ও হত্যাকারীর মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস বানুর আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত বিলকিস বানুর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।

আজ (শনিবার) এ প্রসঙ্গে দিল্লি মহলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেছেন, ‘বিলকিস বানুর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানোকে ২১ বছর বয়সে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তার ৩ বছরের ছেলে এবং পরিবারের ৬ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু গুজরাট সরকার তার সমস্ত ধর্ষককে মুক্ত করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও বিচার না পেলে কোথায় যাবেন?’   

বিলকিস বানু তার আবেদনে গত মে মাসে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, যেখানে গুজরাট সরকারকে ১৯৯২ সালের জেল বিধির অধীনে ১১ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে বিলকিস বানু দণ্ডিতদের মুক্তির বিরোধিতা করেন।  তার আবেদনে ২০০২ সালে তাকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের দ্রুত মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের ১৩ মে তে দেওয়া আদেশের পর্যালোচনা চেয়েছিলেন। আদালত গুজরাট সরকারকে ১৯৯২ সালের ৯ জুলাই –এর নীতির অধীনে দোষীদের অগ্রিম মুক্তি চেয়ে আবেদনটি দুই মাসের মধ্যে বিবেচনা করতে বলেছিল। অবশেষে বিজেপিশাসিত গুজরাট সরকার গত ১৫ আগস্ট ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে তাদের সাজা মওকুফ করে মুক্তি দিয়েছে।     

শীর্ষ আদালতের কাছে বিলকিস বানুর আইনজীবী শোভার দাবি ছিল, ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। আজ (শনিবার) সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।  

২০০২ সালে হিন্দুত্ববাদী বিজেপিশাসিত গুজরাটে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালীন ৩ মে  দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গ্রামের বাসিন্দা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তার তিন বছরের শিশুকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়।

ওই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সাফাই দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। গত ১৫ অগস্ট বাকি ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।#


342/