রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তুরস্ক ও সিরিয়ার গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ এর আগে বেশ কয়েকবার মস্কোয় বৈঠকে মিলিত হয়ে দ্বিপাক্ষিক বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। গত কয়েক মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রবন্ধ ও মতামতে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নানা পরিবর্তনের আলোকে সিরিয়ার সঙ্গে বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে তুর্কি সরকারকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছিল।
গত বুধবারে মস্কোয় সিরিয় ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে বৈঠক হয় তাতে অতীতে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে উত্থাপিত সিরিয়ার কয়েকটি দাবি মেটানোসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুতে সমঝোতা অর্জিত হয়েছে বলে আলওয়াতান লিখেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এবং তার সিরিয় ও রুশ সমকক্ষ তথা আলী মাহমুদ আব্বাস ও সের্গেই শোইগু। ওই আলোচনায় উভয় পক্ষই পিকেকে নামক সন্ত্রাসী কুর্দি গেরিলা গোষ্ঠীকে মার্কিন দাবার গুটি এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সিরিয়া ও তুরস্ক উভয়ের জন্যই বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেছে।
আঙ্কারা ও দামেস্ক ইতোমধ্যে অর্জিত সমঝোতাগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশেষ কমিটি গঠন এবং আগামীতে আরও বৈঠকে বসতে একমত হয়েছে। উভয় দেশ উত্তরপশ্চিম সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে তুরস্ক ও সিরিয়াকে সংযুক্তকারী একটি মহাসড়ক আবারও খুলে দেয়া সংক্রান্ত সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বুধবার তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সিরিয় সমকক্ষের বৈঠককে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। এ বৈঠকের ফলে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াই ও সিরিয়ার পরিস্থিতি, বিশেষ করে সিরিয় শরণার্থীদের বিষয় পর্যালোচনা সহজ হবে বলে সিরিয়ার ওই দৈনিক উল্লেখ করেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে বলেছে, রুশ, তুর্কি ও সিরিয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা সিরিয়ার সংকট ও শরণার্থী সমস্যা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার বিষয়ে কথা বলেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রুশ, সিরিয় ও তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক অব্যাহত থাকলে তা সিরিয়াসহ আশপাশের অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। #