উগ্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জেনারেল কাসেম সুলামানির লড়াই এবং নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সম্পর্কে তার অবদান নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। সম্মেলনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, আমেরিকা গত কয়েক দশক ধরে বহু ভুল করেছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জেনারেল সুলাইমানিকে শহীদ করা।
সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের এ সেনা নায়ককে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করে। সে সময় ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মুহান্দিসও শহীদ হন।
জেনারেল সুলাইমানি ২০১৭ সালে ইরাকে তৎপর উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে পরাজিত করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। একই সাথে তিনি দায়েশের নিয়ন্ত্রণ থেকে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বহু এলাকা মুক্ত করেন। এ কারণে বহু সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জেনারেল কাসেম সুলাইমানিকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমেরিকা এই উগ্রবাদী দায়েশ গোষ্ঠীকে আবার ক্ষমতায় ফিরে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের হিসাব নিকাশ ভুল প্রমাণ হয়েছে এবং আমেরিকা এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহিষ্কারের অনেকটা মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।
জেনারেল কাসেম সুলাইমানির শাহাদাতের মধ্য দিয়ে হয়তো তার দৈহিক জীবনের অবসান ঘটেছে কিন্তু তার কর্মের ধারা চিরকাল বেঁচে থাকবে এবং তিনি প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হবেন।#
342/