আইটিইউসির সাধারণ সম্পাদক লুক ট্রায়াঙ্গেল বলেন, ‘আইএলওর এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে। এটি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আশার আলো এবং সংহতির একটি শক্তিশালী প্রকাশ। ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের মানব ও শ্রম অধিকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ সহ্য করে চলেছে।'
তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যেই ১৪৬টি দেশ ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বিশ্বের সকল দেশের সরকার প্রধানকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ এবং সমান সদস্য হিসাবে স্বীকৃত দেখতে চায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মে মাসে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে গাজায় চলমান ইসরায়েলি যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গত জুন মাসে আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট হাউংবো গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার সমালোচনা করেছিলেন। ১ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গাজা যুদ্ধে এই পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখের বেশি আহত হয়েছে। এছাড়া ৫ লাখ তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং ২ লাখ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে তাদের কর্মস্থল থেকে বাদ পড়েছে।
উল্লেখ্য, আইএলও হলো জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এটি আন্তর্জাতিক শ্রম মান নির্ধারণ এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
342/