বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এ সময় তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আনাস মাহফুজের মামা মুফতি মামুন আবদুল্লাহ কাসেমী কালের কণ্ঠকে তার পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজক কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বছর দেশটি ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। কুয়েতের ক্রাউন প্লাজায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটি ১৪ নভেম্বর শুরু হয় এবং ১৯ নভেম্বর শেষ হয়।
প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতার তিন বিভাগে অংশ নেয়। আনাস মাহফুজ ছাড়াও হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমও এবারের কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। সে ‘কিবারুল হুফফাজ’ (অনূর্ধ্ব-১৯) বিভাগে অংশ নেয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশি কারি আবু জর গিফারি কিরাত বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
হাফেজ আনাস মাহফুজ ঢাকার মারকাজুল ফয়জুল কোরআন আল ইসলামীর শিক্ষার্থী। এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী আগেও একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। তাদের মধ্যে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ও সালেহ আহমাদ তাকরীম।
আনাস মাহফুজের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের উলপুর গ্রামে।
তার বাবা মাওলানা মাহফুজ মুত্তালিব কাতারপ্রবাসী। তিনি কাতারের সরকারি ইমাম। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আনাস সবার বড়। আনাসের মা শাহনাজ পারভিন নিজেও একজন হাফেজা ও মাদরাসার শিক্ষিকা। মূলত মায়ের কাছেই তার হিফজ শুরু হয়। এরপর ফরিদপুর, মাদারীপুর ও নেত্রকোনার একাধিক মাদরাসায় লেখাপড়া করে। বর্তমানে মারকাজুল ফয়জুল কোরআন মিরপুরে অধ্যয়নরত। হাফেজ আনাস একটি আলেম পরিবারের সন্তান। তার দাদা মাওলানা আবদুল মুত্তালিব (রহ.) একজন বিশিষ্ট বুজুর্গ এবং নানা মাওলানা ইয়াকুব একজন খ্যাতিমান আলেম। আনাসের বোনও একজন হাফেজা।
এর আগে ২০২৩ সালে হাফেজ আনাস মাহফুজ পিএইচপি জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল।
342/