তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক ও নানা দেশের বিষয়ে সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে নীতিগুলো ঘোষণার পর ও যথেষ্ট স্থিতিশীল হওয়ার পর এই সরকারের আচরণগুলোর আলোকে তেহরান সিদ্ধান্ত নেবে।
চীনে সিসিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাকচি বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ নির্ভর করবে দামেস্কের আচরণের ওপর। ইরান পুরোপুরি সদিচ্ছা পোষণ করে এবং সিরিয়ায় শান্তি চায়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ায় নানা জাতি ও গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি সর্বাত্মক সরকার গঠনে সহায়তা করতে আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রতি সহযোগিতা ও সহায়তার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও ঐক্য অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। সিরিয়াকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ও প্রতিবেশীদের প্রতি হুমকির ক্ষেত্রে পরিণত হতে দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এইসব নীতির বিষয়ে এ অঞ্চলের সবাই একমত।
আরাকচি বলেছেন, সিরিয়ার জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী, কারণ তারাই দেশটির আসল শাসক।
সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীরা গত ২৭ নভেম্বর বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে উত্তর সিরিয়া থেকে অভিযান শুরু করে এবং মাত্র ১১ দিন পর গত ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে সক্ষম হয় এবং বাশার আল আসাদ দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে মোহাম্মাদ আল বাশির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে কথা রয়েছে। #
342/