গাজা উপত্যকায় ৪৭১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসক ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ অবশেষে ১৯ জানুয়ারী (৩০ জানুয়ারী) রবিবার সকাল ৮:৩০AM (স্থানীয় সময়) এ বাস্তবায়িত হয়। )
ইহুদিবাদী শাসক ও হামাসের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি, যা মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে সম্মত হয়েছিল, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের জন্য কার্যকর হবে এবং যদি সব পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করুন। এই চুক্তিটি প্রাথমিকভাবে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে উভয় পক্ষের বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।
এই যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য নয়, বন্দি বিনিময় এবং অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দিকে একটি জটিল পথ শুরু করার হাতিয়ার হিসেবেও এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা তার আগেই গাজার বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ শুরু করার কথিত অধিকার তেল আবিব সংরক্ষণ করবে।
গাজার ওপর ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালানোর পর আজ থেকে যখন হামাসের সঙ্গে তেল আবিবের বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় শুরু হতে যাচ্ছে তখন এই দাবি করলেন যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু।
গতকাল (শনিবার) ইসরাইলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা মিশর, কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় অর্জিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করা সত্ত্বেও এ দাবি করেন ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আগামীকাল শপথ নিতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে দাবি করেন, উভয় প্রেসিডেন্ট তাকে এই অনুমতি দিয়ে রেখেছেন যে, যুদ্ধবিরতির ভেতরেই অথবা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, যখনই তেল আবিব উপযুক্ত মনে করবে তখনই আবার গাজায় হামলা শুরু করতে পারবে।
বিগত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ইসরাইল এবং এ কাজে পূর্ণ রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা দিয়েছে আমেরিকা।
নেতানিয়াহু শনিবার তেল আবিবে আরো বলেন, “যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা আমাদের ঘোষিত সব লক্ষ্য অর্জন করব।”
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসকে ধ্বংস করে গাজা থেকে পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসাকে এই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন নেতানিয়াহু। কিন্তু ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালিয়েও সে লক্ষ্যের ধারেকাছে যেতে পারেনি ইসরাইল। 4260692#
342/