গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। আল-হুথি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির বিজয় একটি উল্লেখযোগ্য ও ঐতিহাসিক অর্জন।
তিনি গাজা যুদ্ধে বিজয়ে ফিলিস্তিনি জাতির পাশাপাশি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো বিশেষ করে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
হুথি আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, “গাজার প্রতি আঞ্চলিক প্রতিরোধ ফ্রন্টের সমর্থন ইহুদিবাদী শত্রুকে পরাভূত করেছে এবং এই বিজয়ে ইরান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
আব্দুল-মালিক আল-হুথি আরো বলেন, গাজা যুদ্ধে বিজয় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বদলে দিয়েছে এবং ইসরাইলি কর্মকর্তারাই এ যুদ্ধে নিজেদের পরাজয়ের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযানের জের ধরে গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।
তারা লোহিত সাগরে ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে ইহুদিবাদী সরকারের সামুদ্রিক বাণিজ্যের বিশাল অংশকে পঙ্গু করে দেয়। এছাড়া, ইয়েমেন থেকে ইসরাইলে বহুবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেন।
342/