আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাইজেরিয়ার জারিয়া শহরের ‘বাকিয়াতুল্লাহ’ ইমামবাড়িতে শিয়াদের এক সমাবেশে সেনাবাহিনীর বর্বর হামলায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। ঐ কবরে ৩৫০ ব্যক্তির লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কাদুনা প্রদেশের গোত্র বিষয়ক বিভাগের প্রধান ‘মুহাম্মাদ নামাদি মুসা’ এ গণকবরের সন্ধান লাভের তথ্য ফাঁস করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, নাইজেরিয়ার শিয়া মুসলিমরা বোকো হারামের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো এক শহীদদের জানাযায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জারিয়া শহরের বাকিয়াতুল্লাহ ইমামবাড়িতে সমবেত হয়েছিলেন। এ সময় ঐ সমাবেশে নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী নৃশংস হামলা চালায়।
নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী এ সময় নাইজেরিয়া ইসলামি আন্দোলনের নেতা শাইখ ইব্রাহিম যাকযাকিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। হামলায় শাইখ যাকযাকি’র শরীরে কয়েকটি গুলি বিদ্ধ হয়।
ঐ ঘটনার পর কখনই এ হামলায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ৩০০ ব্যক্তি প্রাণ হারায়। এ্যামনেস্টি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী শত শত ব্যক্তি ঐ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
নাইজেরিয়া ইসলামি আন্দোলন জানিয়েছে, জারিয়া ট্রাজেডিতে এ মুভমেন্টের ৭৩০ সদস্য প্রাণ হারিয়েছে।
ইসলামি আন্দোলনের কর্মকর্তারা মনে করেন, ঐ সকল ব্যক্তি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে অথবা তাদেরকে অপহরণ পূর্বক অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে, শিয়া হত্যার বিষয়ে গঠিত আদালতের শুনানিতে কাদুনা প্রদেশের ডেপ্যুটি গভর্নর ‘বালারাব লাভাল, বলেছেন: ডিসেম্বর মাসে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের ঐ ঘটনায় প্রান হারানো শিয়াদের লাশগুলোকে সেনা ছাউনি থেকে বের করে গণকবর দেয়া হয়।
এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও নাইজেরিয়ায় শিয়া হত্যা ও গোপনে তাদেরকে দাফন করার বিষয়ে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
কাদুনা প্রদেশের কর্মকর্তা কর্তৃক শত শত শিয়া হত্যা ও তাদেরকে গোপনে গণকবরে দাফনের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ, এ হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে এ্যামনেস্টি।#