৪ এপ্রিল ২০২৩ - ১২:৩৪
নগর পরিকল্পনায় এখনো উপেক্ষিত অগ্নিনিরাপত্তা, বাড়ছে আগুনের ঝুঁকি

ঢাকাসহ সারা দেশের সব নগরকেন্দ্রে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা উপেক্ষা এবং বিল্ডিং কোড না মেনে ১০ থেকে ১২ তলা পর্যন্ত উঁচু ভবন নির্মাণ করায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া সংকীর্ণ রাস্তার পাশে উঁচু ভবন নির্মাণ বাড়াচ্ছে আগুনের ঝুঁকি। জরুরি পরিস্থিতিতে ভারী যন্ত্রপাতিসহ ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনের যাতায়াত বা প্রবেশকে সীমাবদ্ধ করার ফলে আরও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এতে আতঙ্কে আছেন নগরবাসী।

বর্তমানে ঢাকাসহ সারা দেশের নগর এলাকায় ব্যবসায়িক লাভ বাড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্যে বিকল্প সিঁড়ি ও নির্গমন পথ, ফায়ার লিফট, ফায়ার ডোর, ফায়ার ডিটেক্টর, ফায়ার স্প্রিংক্লার, ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম প্রভৃতি অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেমের যথাযথ ব্যবস্থা না করেই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে কোনো ধরনের অকুপেন্সি সনদ ছাড়াই এই ভবনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত আইনসমূহকে অবজ্ঞা করে বহুতল ভবনের নির্মাণ ও ব্যবহার চলছে। এ ছাড়া এসব ভবনে অগ্নিসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

সারা দেশের ভবন নির্মাণে যথাযথ মানদণ্ড ও অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি অনতি বিলম্বে গঠন করে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম মনে করেন এক্ষেত্রে রাজউকের মনিটরিং জোরদার করা এখন সময়ের দাবি।

রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সরেজমিন তদন্তের পর বহুতল ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভবনমালিক ও ডেভেলপারদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করা হয়েছিল কি না, সেটাও নিশ্চিত করা যায়নি এখনো।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ভবন নির্মাণ করতে সবাই চাই কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থায় কেউ টাকা খরচ করতে চায় না। নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিনিয়োগ করতে হবে।#

342/