পার্সটুডের মতে, ইহুদিবাদী বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ফিরাস ইয়াঘি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং হামাসের মধ্যে সরাসরি আলোচনার কথা উল্লেখ করে এটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই দৃঢ় বিশ্বাসের ফল বলে মনে করেন যে সরাসরি আলোচনা বন্দীদের মুক্তি ত্বরান্বিত করবে এবং এটি এই অঞ্চলে বৃহত্তর পরিকল্পনায় ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বিষয়ে আরেক বিশ্লেষক হাসান লাফি বলেছেন, "হামাসের সঙ্গে মার্কিন আলোচনার দুটি নেতিবাচক এবং একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে।" এর ইতিবাচক দিক হলো যে ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত হয়েছে যে হামাস ছাড়া বন্দীদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় এবং এটি হামাসের ওপর নেতানিয়াহুর সামরিক চাপের ব্যর্থতার বিষয়টিই তুলে ধরে।
তার মতে, নেতিবাচক দিক হলো যুদ্ধ বন্ধের কোনও প্রতিশ্রুতি না দিয়েই অধিক সংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে মার্কিন কৌশল ব্যবহার করা।
ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আইয়াদ আল-কুরা বলেন, "হামাসের সঙ্গে মার্কিন আলোচনা বন্দি ইস্যু ছাড়িয়ে আরো বৃহত্তর পরিসরে সংলাপের দরজা খুলে দেওয়ার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে যা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার এবং দখলদারদের তাদের দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার সম্ভাবনা তৈরি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "এই আলোচনা ইসরাইলি দখলদারদের ওপর ওয়াশিংটনের ক্রমহ্রাসমান আস্থা এবং হামাসকে পরাস্ত করতে বা রাজনৈতিকভাবে একঘরে করতে তাদের ব্যর্থতার প্রতিফলন।"
এদিকে আরব বিশ্বের প্রখ্যাত বিশ্লেষক আবদেল বারী আতওয়ান বলেন, "আরব মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসকে শর্ত আরোপ করতে তার সরকার এবং দূতের ব্যর্থতার ফলেই ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।"
ইসরাইলের চ্যানেল ২৪ নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদনে হামাসের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরর্থক হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তাদের হুমকি বাস্তবায়ন করতে অক্ষম হয়েছেন এবং এখন হামাসের সাথে বন্ধুত্ব খুঁজছেন।
হামাসের সঙ্গে সরাসরি মার্কিন আলোচনার পরও গাজা যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে নেতানিয়াহুর অব্যাহত অক্ষমতা সম্পর্কে ইসরাইলের চ্যানেল ১৩ টিভি কিছু ইহুদিবাদী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হন তাহলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে এর বিরোধিতা করা খুব কঠিন হবে এবং আমেরিকানরা এটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেবে।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন "হামাস" তাদের সকল দাবি বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়ে আসছে যার মধ্যে রয়েছে বন্দী বিনিময় বাস্তবায়ন, গাজা থেকে দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে যুদ্ধ পুনরায় শুরু না করার জন্য ইহুদিবাদী সরকারের প্রতিশ্রুতি।#
342/
Your Comment