চিকিৎসা কেন্দ্র ও সরঞ্জামাদির উপর ইসরায়েলি হামলার পরিসংখ্যান

আহলুল বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা – আবনা – এর প্রতিবেদন অনুসারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নার্সিং বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্বাস ইবাদি, সম্প্রতি সংঘটিত যুদ্ধের সময় দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মক্ষমতা উল্লেখ করে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন: "আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি সংস্থা হিসেবে, ৫,৮০,০০০-এর বেশি স্বাস্থ্য কর্মী নিয়ে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে ১,০৮০টি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ও অতিবিশেষজ্ঞ দল পর্যন্ত, পরিষেবা প্রদান করছিল। জায়নবাদী শত্রু আমাদের উপর এই ১২ দিনের যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার প্রথম মিনিট থেকেই, বিশেষ করে ক্লিনিকাল বিভাগগুলিতে, সকল প্রিয়জন কর্মরত ছিলেন।"

তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের পূর্বপ্রস্তুতির উপর জোর দিয়ে বলেছেন: "ভাগ্যক্রমে, সংকট ব্যবস্থাপনা এবং অতীতে প্রদত্ত প্রশিক্ষণের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলির কারণে, সমস্ত প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম সর্বোচ্চ গতি ও গুণমানের সাথে সম্পন্ন হয়েছিল। দেশের ৬৫টি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭টিরও বেশি এই বিষয়ে সরাসরি জড়িত ছিল এবং ২,৪৫,০০০ জন নার্সিং গ্রুপও এই ঘটনাগুলিতে অগ্রণী পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে ছিল।"

ইবাদি আহতদের সমর্থন এবং হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা প্রদানের বিষয়ে বলেছেন: "দুর্ভাগ্যবশত, জায়নবাদী শাসন কখনও আন্তর্জাতিক প্রটোকলের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না এবং এই যুদ্ধেও স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা প্রদানকারী কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ করেছে। এই হামলাগুলির সময়, শহীদ মোতাহারি বার্ন হাসপাতাল এবং তেহরানের লাব্ফি‌নেজাদ হাসপাতাল সহ ৫টি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে, পূর্বপ্রস্তুতির কারণে, রোগীদের অবিলম্বে অন্যান্য কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।"

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নার্সিং বিষয়ক উপমন্ত্রী আরও বলেছেন: "এই ১২ দিনে, ১০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স সরাসরি হামলার শিকার হয়েছিল এবং আমাদের চারজন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন। এছাড়াও, রেড ক্রিসেন্টের বহু সংখ্যক কর্মী আহত হয়েছেন। কেরমানশাহ, পূর্ব আজারবাইজান এবং তেহরানের হাসপাতালগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তবে পরিষেবা প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত পুনরায় শুরু হয়েছিল।"

তিনি সহায়তা কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন: "চারটি ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, যা ভাগ্যক্রমে ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। এছাড়াও, পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নিয়মাবলী ও কার্যনির্বাহী নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, যা আপাতত বাস্তবায়নের প্রয়োজন হয়নি।"

ইবাদি এই সংকটে চিকিৎসা কর্মীদের পেশাদারী সংহতির প্রশংসাও করেছেন এবং বলেছেন: "এই পবিত্র প্রতিরক্ষা জাতীয় ও পেশাদারী উভয় স্তরেই একটি অভ্যন্তরীণ সংহতি তৈরি করেছে। সমস্ত বেসরকারি সংস্থা, নার্সিং অর্গানাইজেশন, নার্স হাউজ এবং বৈজ্ঞানিক ও পেশাদারী সংস্থাগুলি এগিয়ে এসেছে। স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন গোষ্ঠীর, অবসরপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী পর্যন্ত, একটি উল্লেখযোগ্য ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখনই চাইবে, তখনই পরিষেবা প্রদানে প্রস্তুত।"

তিনি পরিশেষে জোর দিয়ে বলেছেন: "আমাদের অনেক সহকর্মী, অসুস্থতার ছুটিতে থাকা নারী সহ, তাদের ছুটি বাতিল করেছেন এবং অবসরপ্রাপ্ত যারা কোনো সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে ছিলেন না, স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। এটি দেশের এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি বিশাল সম্পদ।"