১২ দিনের যুদ্ধে গণমাধ্যমের ৯ সদস্য শহীদ হয়েছেন

 আহলুলবাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা - আবনার প্রতিবেদন অনুসারে, বাসিজ মিডিয়া সংস্থার প্রধান ঘোষণা করেছেন যে, সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে দেশের ৯ জন গণমাধ্যমকর্মী জায়নবাদী শাসনের সরাসরি ও লক্ষ্যবস্তু হামলায় শাহাদাতবরণ করেছেন। ড. মোর্তেজা কারামুজিয়ান এই যুদ্ধের গণমাধ্যম শহীদদের স্মরণে বলেন: "এই শহীদদের মধ্যে, জাতীয় গণমাধ্যমের দুইজন কর্মী, শহীদ মাসুমে আজিমী এবং শহীদ নিমা রজবপুর, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সম্প্রচার সংস্থার কাঁচের ভবনে সরাসরি হামলার শিকার হয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন।" তিনি আরও বলেন: "এছাড়াও আমাদের তিনটি স্বনামধন্য সংবাদ সংস্থা থেকে, পবিত্র প্রতিরক্ষা সংবাদ সংস্থার শহীদ ফেরেশতেহ বাঘেরি এবং ইকনা ও পবিত্র প্রতিরক্ষা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদক শহীদ ইহসান জাকেরি, বাসিজের জনসংযোগ এবং বাসিজ নিউজের সাথে সম্পর্কিত তিনজন গণমাধ্যম কর্মী ও প্রতিবেদকদের সাথে - শহীদ আলী তাহমাসেবি, শহীদ মোয়িন নজারি এবং শহীদ রমজান-আলী চুবদারি (আলবোর্জ প্রদেশের ইমাম হাসান মুজতবা (আ.) সেনাবাহিনীর জনসংযোগ প্রধান) - শাহাদাতবরণ করেছেন। এছাড়াও, রোশানা চ্যানেলের পরিচালক এবং বিপ্লবের সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শহীদ আমিরহুসেইন তাভুসি এবং বায়ান মিডিয়া ফাউন্ডেশনের শহীদ মোহাম্মদ জাভেদ আলভান্দি এই সংকর যুদ্ধে দেশের অন্যান্য নির্যাতিত গণমাধ্যম শহীদ।" কারামুজিয়ান এই শহীদদের পরিবার এবং দেশের গণমাধ্যম সমাজের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জোর দিয়ে বলেন: "এই শহীদগণ জিহাদে তাবিনের পথপ্রদর্শক এবং শত্রুর মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে ইরানের গণমাধ্যম ফ্রন্টের প্রতিরোধের প্রতীক ছিলেন। তাঁদের পবিত্র রক্ত এই ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।" এই ১২ দিনের যুদ্ধে, ১০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসা চলছে। এই অপরাধের আইনি মাত্রার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি যোগ করেন: "আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রোম সংবিধির ধারা ৮-এর উপধারা ২ অনুযায়ী, সাংবাদিকদের উপর হামলা সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। এই কাজটি ১৯৪৯ সালের চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন এবং এর প্রথম অতিরিক্ত প্রোটোকলের ৫২ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবেও বিবেচিত হয়, যা বেসামরিক স্থাপনা এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষার বাধ্যবাধকতা রাখে।" বাসিজ মিডিয়া সংস্থার প্রধান পরিশেষে বলেন: "গণমাধ্যম-বিরোধী এই অপরাধ বিশ্বব্যাপী নীরবতার মধ্যে চাপা পড়ে যাওয়া উচিত নয়। বাসিজ মিডিয়া সংস্থা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়, এই হামলার অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ন্যায়বিচার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আইনি ও আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ অনুসরণ করবে।"

উল্লেখ্য, জায়নবাদী শাসন গত ১৩ই জুন খুব ভোরে ইরানের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের অভিযান শুরু করে। তেহরান সেদিনই 'অপারেশন সাদেক ৩' শুরু করে এবং দখলকৃত ভূমিতে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে একটি কঠিন জবাব দেয় এবং অবশেষে ১২ দিন পর জায়নবাদী শাসনকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য করে।