আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন বিভাগ প্রধান শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ ইজাদির শাহাদাতের ৪০ দিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আল-আহেদ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বক্তব্যে শেখ কাসেম ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘হিজবুল্লাহ সব সময় যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে এসেছে। আমরা শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো লঙ্ঘনে জড়াইনি। কিন্তু ইসরায়েল হাজার হাজারবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হিজবুল্লাহর অস্ত্রধারণের অধিকার থাকায় ইসরায়েল সেটি মানতে নারাজ এবং বারবার তা লঙ্ঘন করছে।
‘চুক্তির সুযোগে হিজবুল্লাহ লেবাননে তার সামরিক শক্তি ধরে রেখেছে, যা ইসরায়েলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন হস্তক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবগুলো মূলত লেবানন ও এর প্রতিরোধ শক্তিকে দুর্বল করার একটি কৌশল। ‘তারা চায় লেবাননের সামরিক প্রতিরক্ষা ক্ষমতা—বাহিনী এবং প্রতিরোধ—দুইই ক্ষয়িষ্ণু হোক, যাতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে কোনো জবাব দেওয়ার সক্ষমতা না থাকে।’
তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাকের নেতৃত্বে একটি প্রস্তাবনা এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে—৩০ দিনের মধ্যে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনকে হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টার শেলসহ সব ধরনের ‘সরল অস্ত্র’ও জমা দিতে হবে।
এই প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করে নাইম কাসেম বলেন, ‘আমরা নতুন কোনো চুক্তিতে সম্মত নই। পুরোনো চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছকে তৈরি যেকোনো টাইমলাইন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
Your Comment