আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা): জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে স্মরণ, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিল এবং বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছে “গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী ছাত্রজনতা”। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আন্দেরকিলা শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ আছর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে আন্দেরকিলা থেকে একটি বিজয় মিছিল শুরু হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাপ্ত হয়।
মিছিলে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক আন্দোলন শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য ছিল না, বরং এটি ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। কিন্তু বর্তমান ইন্টেরিম সরকার সেই প্রত্যাশা পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং নামকেওয়াস্তে একটা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে আগানোর চেষ্টা করছে।
বক্তারা ইন্টেরিম সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতার দিক তুলে ধরেন, যেমনঃ
1. ইন্টেরিম সরকারের আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে তারা বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে বলে মনে হচ্ছে না। সারাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে রাজনৈতিক চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক লুটপাট চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। যার দরুন পাথর দিয়ে থেঁতলে মানুষ মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে।
2. সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার অপেশাদার আচরণ করেছে – জনগণকে প্রতিশ্রুত সংস্কার এবং তার স্পষ্ট রোডম্যাপ সহ টাইম ফ্রেম দিতে পারেনি ইন্টেরিম সরকার।
3. শহীদ ও আহতদের প্রতি অবহেলা – আন্দোলনের শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ঘোষিত সহায়তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, যে ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে এই পরিবর্তন এসেছে, তা বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। জনগণের দাবি পূরণ না হলে এবং গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করা হলে আবারও আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করা হবে।
পরিশেষে দোয়া মাহফিলে শহীদদের জন্য মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সংগঠক মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, রাফসান হোসাইন জনি, সৈয়দ এহসানুল হক, আজগর আলি আশিক, সাজ্জাদ হোসাইন, যুবশক্তির নুরে আবরার রাজিন, হুজ্জাতুল ইসলাম সাঈদসহ প্রমুখ।
Your Comment