আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হোস্টেজেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম নামে পরিবারগুলোর সংগঠন জানায়, যখনই কোনো চুক্তি এগোতে থাকে, নেতানিয়াহু সেটি ভণ্ডুল করে দেন। কাতারে সম্প্রতি হামলার ঘটনাই তার প্রমাণ।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় একটি বাড়িতে হামলা চালায়, যেখানে হামাসের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসেছিলেন। হামাস জানায়, ওই হামলায় তাদের পাঁচজন সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, হামাস নেতাদের কাতারে হত্যা করলেই বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধের অবসানের পথে প্রধান বাধা দূর হবে। তার দাবি, হামাসই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রতিহত করছে।
তবে বন্দি পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে আরেকটি অজুহাত বলে আখ্যা দেন। তারা বলেন, এই কাতারের অভিযান প্রমাণ করেছে, বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু নিজেই। এখন আর দেরি না করে চুক্তির পথে হাঁটার সময় এসেছে।
পরিবারগুলোর দাবি, নেতানিয়াহুর বিলম্বনীতির কারণে ৪২ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে এবং বাকিদের জীবনও এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে, কাতারে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রোববার ইসরায়েল সফরে এসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সফরের আগে রুবিও বলেন, এই হামলায় আমরা খুশি নই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও অসন্তুষ্ট। তবে এখন আমাদের সামনে তাকাতে হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হবে।
Your Comment