আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): দেশটির রিজার্ভ জেনারেল ও সামরিক বিশ্লেষক ইতজাক ব্রিকের মতে, অব্যাহত যুদ্ধ ও কর্মকর্তাদের বাহিনী এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাবের কারণে দেশটির সেনাবাহিনী এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনবল সংকটে পড়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজার হাজার কর্মকর্তা ও নন-কমিশন্ড অফিসার ডাকে সাড়া দেয়নি বা চাকরির মেয়াদ নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গাজায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। এই যুদ্ধে দেশটির ৯২৩ সেনা নিহত এবং আহত হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্য উদ্ধৃত করে দেশটির গণমাধ্যম এসব জানায়।
বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার সেনা যুদ্ধ-পরবর্তী মানসিক ধকল বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেসে ভুগছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মূলত কঠোর সামরিক সেন্সরশিপের মধ্যেও যুদ্ধে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, যাতে সেনা সদস্যদের মনোবল ধরে রাখা যায়। ব্রিক জানায়, সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তা দ্রুত অবসর নিতে চাইছেন এবং তরুণ সদস্যরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, ফলে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক জনবল ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
তার মতে, এই সংকট এখন সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ এবং যুদ্ধোপকরণ পরিচালনাকেও বাধাগ্রস্ত করছে। সে সতর্ক করে বলে, এভাবে চলতে থাকলে সেনাবাহিনী ‘সম্পূর্ণ অচল অবস্থায়’ চলে যেতে পারে।
আর এই পরিস্থিতির জন্য ব্রিক পূর্ববর্তী চিফ অব স্টাফদের ‘ভুল সিদ্ধান্ত’কে দায়ী করে। তার মতে, গত কয়েক বছরে জনবল কমানো ও সেনাসদস্যদের সার্ভিসের মেয়াদ কমিয়ে আনার মতো এমন সব পদক্ষেপই বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে। আর এটি দ্রুত পূরণ করা সম্ভব নয়।
পুরোনো প্রযুক্তি ও বিচ্ছিন্ন তথ্যভান্ডারের কারণে সেনাবাহিনী ‘তথ্য অন্ধত্বে’ ভুগছে বলেও তিনি উল্লেখ করে। ব্রিক সতর্ক করে, এই জনবল সংকট দ্রুতই ইসরাইল সেনাবাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অচল’ করে দিতে পারে।
Your Comment