আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): "রহমতের নবী" আন্তর্জাতিক সম্মেলন, যা ১,৫০০ বছরের ইসলামী ইতিহাসের উপর আলোকপাত করেছিল, নবী (সা.)-এর সার্বজনীন রহমতের বার্তার বিভিন্ন দিক বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে।
এই অনুষ্ঠানে, বিশিষ্ট ভারতীয় বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন সৈয়দ আকিল আল-গারভি, মহানবী (সা.)-এর বিশ্বব্যাপী মিশনের কথা উল্লেখ করে তার বক্তৃতা শুরু করেন এবং বলেন: "ইসলাম ধর্মের মূল কথা হলো মানবতা এবং নৈতিকতা; শিয়া ও সুন্নি দুটি পৃথক সম্প্রদায় নয়, এবং এই বিভাজনের সৃষ্টি ইসলামের শিক্ষায় নয়, রাজনীতিতে নিহিত।"
তার বক্তৃতার অন্য একটি অংশে, এই ধর্মীয় আলেম, আজকের মানবতার মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলির কথা উল্লেখ করে আরও বলেন: "বর্তমান যুগে মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হল পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইসরায়েলের অক্ষে। এবং অনেক আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী সংঘাত, সহিংসতা এবং যুদ্ধ এই ব্যবস্থার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য দ্বারা গঠিত হয়।"
তার বক্তৃতা অব্যাহত রেখে, ভারতীয় ধর্মপ্রচারক ইসলামী উম্মাহর ঐক্যকে মহানবী (সা.) এর পথে ফিরে আসার উপর নির্ভরশীল বলে মনে করেন এবং জোর দিয়ে বলেন: "আমাদের অবশ্যই রহমতের নবীর ভালোবাসার আলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যখন মুসলমানরা নবীর বিশুদ্ধ শিক্ষার অক্ষে একত্রিত হবে, তখন শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য দূর হয়ে যাবে।"
তার বক্তৃতার শেষে, তিনি ইসলামে মানবতার কেন্দ্রবিন্দু পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন: "ইসলাম ধর্মের নীতি ও সারমর্ম হলো মানবতা, এবং সমস্ত ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মর্যাদা, সম্মান এবং অস্তিত্বগত মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে।"
মহানবী (সা.) কেবল মুসলমানদের জন্য পথপ্রদর্শক ছিলেন না, বরং সকল মানুষের জন্য এক সর্বজনীন রহমত ছিলেন; এমন একটি রহমত যা ভৌগোলিক, বর্ণগত এবং ধর্মীয় সীমানা অতিক্রম করে আজও সহাবস্থান, ন্যায়বিচার এবং মানবিক নৈতিকতার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী মডেল হিসেবে টিকে আছে।
Your Comment