আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : সম্মেলনে দেয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে আফগানিস্তানের মোট বার্ষিক বাজেটের শতকরা ৭৫ ভাগ আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তিনি বলেন, হঠাৎ করে সেই সাহায্য বন্ধ করে দিয়ে উল্টো আমেরিকার পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের বিশাল অঙ্কের অর্থ আটকে দেয়ার ফলে আফগানিস্তান বর্তমানে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
তিনি আফগান পরিস্থিতির ব্যাপারে আমেরিকার ‘অনুপযুক্ত’ নীতির সমালোচনা করেন এবং ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে তাতে বিশ্বের কারো লাভ হবে না এবং এর ক্ষতি শুধুমাত্র পাকিস্তান ও ইরানে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাক প্রধানমন্ত্রী আফগান জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আফগানিস্তানের সমস্ত নৃগোষ্ঠী লোকজনের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের মধ্যদিয়েই কেবল মাত্র দেশটিতে টেকসই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এছাড়া, সম্মেলনে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি আমেরিকার পক্ষ থেকে তার দেশের অর্থ আটকে রাখার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আফগান অর্থ আটকে রাখার অর্থ সকল আফগান নাগরিকের সঙ্গে শত্রুতা এবং সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। তিনি সকল মুসলিম দেশে আফগানিস্তানের দূতাবাস আবার চালু করার আহ্বান জানান।মুত্তাকি বলেন, আমরা সকল মুসলিম দেশকে এই নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, আফগানিস্তানে বর্তমানে একটি দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন ও প্রতিশ্রুতিশীল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।#
342/