আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দল ও জোটের নেতাদের বাড়ি-গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ শনিবার দেশের সকল জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি।এর
আগে সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ১২ মে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সব বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপি নেতারা ঘোষনা করেন, দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এমনকি কেউ নির্বাচনে গিয়ে দলের সঙ্গে বেইমানি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘আমার কানে একটা কথা এসেছে, আমাদের দলের মধ্যে একটা ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হালুয়ারুটি দেবে, এই লোভে কিছু লোক চলে যাবে। যদিও আমি এ ধরনের লক্ষণ দেখি না। তারপরও যা কানে শুনি, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা যদি হালুয়ারুটির লোভের কারণে চলে যান, দলের সাথে বেইমানি করেন, এই বেইমানদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।’
সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এই দল জিয়াউর রহমানের দল, খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল। যত চেষ্টাই করেন এই দলকে ভাঙা যাবে না। এই দল মচকাবে, ভাঙবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে শুনেছেন। এই দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাসীনরা বক্তব্য দিচ্ছে সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকারকে বলব, এটা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ যে আন্দোলন করছে, এটা আপনাদের পতনের আন্দোলন। ষড়যন্ত্রের কথা বলে আপনারা এই আন্দোলন থামাতে পারবেন না।’
ওদিকে, নাটোরে বিএনপির মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে শহরের স্টেশন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম সুমন। আহত সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে বিএনপি।
এর পর দলীয় কার্যালয়ের অভ্যন্তরে সংক্ষিপ্ত সভা করে বিএনপি নেতারা বলেন, ক্ষমতাসীনরা বিরোধী মতকে সহ্য করতে পারছে না। তারা জানে বিএনপি মাঠে নামতে পারলে তারা জনরোষ ঠেকাতে পারবে না। সারা দেশের মানুষ বিএনপির আন্দোলনের সাথে মাঠে নেমে আসবে। তাই সকল কর্মসূচি ঠেকাতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুলিশ দিয়ে প্রতিহত করছে।
ওদিকে আজ শনিবার (১৪ মে) সকালে ঝালকাঠিতে শত শত নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মিছিল বের করে। এ সময় অনুমতি না থাকার অজুহাতে পুলিশ বাধা দিলে, উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাঠি চার্জ করে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগের উপস্থিতিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে।
এ ছাড়া, পটুয়াখালীর বনানী মোড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনেও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছি করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।#
342/